স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখিয়েও মিলল না সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা।
শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটাই নাকি নকল। সরকারি হাসপাতালের এমন জবাব শুনে থ হতদরিদ্র পরিবার। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে এমন অভিজ্ঞতার ঘটনা রীতিমতাে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষজনও।
কার্যত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে প্রতারিত হলাে এক গরীব পরিবার। রাজ্য সরকারের দেওয়া কার্ড ফেরালাে খােদ সরকারি হাসপাতাল। গুরুতর অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা গেল সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটাই নাকি নকল।
কল্যাণী পৌরসভার মাঝেরচর ৭নং ওয়ার্ডের দীপক দাস বিগত ১ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। দুটো কিডনি তাঁর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করতে হয়।
দীপক দাসের পুত্র দেবাংশু দাস জানান, ‘বাবা’র প্রস্রাবের সাথে রক্ত আসছিল। ডায়ালিসিসও খুব প্রয়ােজন ছিল বলে জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। রবিবার মা মীরা দাসের নামে থাকা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে।
কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সেখান থেকে জিজ্ঞেস করেছিল আর কি কোনও কার্ড বাড়িতে আছে কিনা? আর কোনও কার্ড নেই জানানাের পর বলল এটা ‘ডুপ্লিকেট'।
Read more: আদালতে আত্মসমর্পণ করল গরু পাচার কান্ডের মূলচক্রী এনামুল হক, হাজির সতীশ কুমারও।
শুধু এখানে নয় অন্য কোনও জায়গাতেই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গিয়ে সাহায্য মিলবে না।' অগত্যা সরকারের দেওয়া মায়ের নামে নীল রঙের কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন দেবাংশু দাস।
হাসপাতালের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কার্ডটা নিয়ে কৃষ্ণনগরে যেতে সেখানে হেড অফিসে গিয়ে দেখাতে।
গুরুতর অসুস্থ বাবা নিয়ে হাসপাতাল সামলাবেন না কৃষ্ণনগর দৌড়বেন? এই ভেবে আর ‘নকল” কার্ডকে ‘আসল’ করার পিছনে না ছুটে পকেটের টাকা খরচ করেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয় দেবাংশুকে।
শেষে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজেও দীপক দাসের ডায়ালিসিস হয়নি। কারণ ওখানে শরীরে রক্ত দেওয়া ও ডায়ালিসিস একই সাথে হয় না বলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
‘নকল স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড থাকায় মেলেনি বাড়ি ফেরার গাড়ি খরচের ৪০০ টাকাও। গত সােমবার হুগলী জেলার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ডায়ালিসিস করানাে হয় তাঁর বাবার। এরপরও আরও ২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে দীপক দাসের চিকিৎসা করাতে।
শুধু এখানে নয় অন্য কোনও জায়গাতেই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গিয়ে সাহায্য মিলবে না।' অগত্যা সরকারের দেওয়া মায়ের নামে নীল রঙের কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন দেবাংশু দাস।
হাসপাতালের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কার্ডটা নিয়ে কৃষ্ণনগরে যেতে সেখানে হেড অফিসে গিয়ে দেখাতে।
গুরুতর অসুস্থ বাবা নিয়ে হাসপাতাল সামলাবেন না কৃষ্ণনগর দৌড়বেন? এই ভেবে আর ‘নকল” কার্ডকে ‘আসল’ করার পিছনে না ছুটে পকেটের টাকা খরচ করেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয় দেবাংশুকে।
শেষে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজেও দীপক দাসের ডায়ালিসিস হয়নি। কারণ ওখানে শরীরে রক্ত দেওয়া ও ডায়ালিসিস একই সাথে হয় না বলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
‘নকল স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড থাকায় মেলেনি বাড়ি ফেরার গাড়ি খরচের ৪০০ টাকাও। গত সােমবার হুগলী জেলার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ডায়ালিসিস করানাে হয় তাঁর বাবার। এরপরও আরও ২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে দীপক দাসের চিকিৎসা করাতে।
Read more: ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাসউদ্দীন সিদ্দিকীর সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে বৈঠক MIM প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েসির।
দেবাংশু জানায়, ২০১৭ সালে মা মীরা দাসের নামে এই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছিলেন। সেই সময় কল্যাণী পৌরসভায় স্বল্প সঞ্চয় গােষ্ঠীর সদস্য ছিলেন মীরা দাস। সেখান থেকেই ফর্ম পূরণ করে দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরই ওই কার্ড রিনিউ করা হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। কিন্তু পৌরসভা থেকে দেওয়া স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড কিভাবে নকল হলাে তা বােধগম্য এখনও হয়নি ওই পরিবারের।
লরিতে লােডিং আনলােডিং এর কাজ করেন তিনি। মা মীরা দাস এলাকায় গৃহ সহায়িকার কাজ করেন। কোন রকমে দিন গুজরান করে ওই পরিবার। দুটো কিডনি বিকল দীপক দাসের চিকিৎসা খরচ চালানাের খরচ জোগাড় করতে নাজেহাল হতদরীদ্র পরিবারটি।
এলাকায় তৃণমূল কংগ্রসের নেতাদের ঘটনার কথা জানাতে তাঁরা বলেন, হাসপাতাল থেকে যখন এটা বলেছে ঝামেলা না বাড়িয়ে নতুন করে এখন আবার ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে।
এখন ‘দুয়ারে সরকার প্রকল্পের তীব্র ঢক্কানিনাদে ফের স্বাস্থ্যসাথীর ৫ লক্ষ টাকা বিমা দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রচার চালানাে হচ্ছে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে। অথচ ওই সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথীতেই দেড় লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য চাইতেই প্রতারিত হতে হলাে মীরা দাসের পরিবারকে।
দেবাংশু জানায়, ২০১৭ সালে মা মীরা দাসের নামে এই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছিলেন। সেই সময় কল্যাণী পৌরসভায় স্বল্প সঞ্চয় গােষ্ঠীর সদস্য ছিলেন মীরা দাস। সেখান থেকেই ফর্ম পূরণ করে দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরই ওই কার্ড রিনিউ করা হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। কিন্তু পৌরসভা থেকে দেওয়া স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড কিভাবে নকল হলাে তা বােধগম্য এখনও হয়নি ওই পরিবারের।
লরিতে লােডিং আনলােডিং এর কাজ করেন তিনি। মা মীরা দাস এলাকায় গৃহ সহায়িকার কাজ করেন। কোন রকমে দিন গুজরান করে ওই পরিবার। দুটো কিডনি বিকল দীপক দাসের চিকিৎসা খরচ চালানাের খরচ জোগাড় করতে নাজেহাল হতদরীদ্র পরিবারটি।
এলাকায় তৃণমূল কংগ্রসের নেতাদের ঘটনার কথা জানাতে তাঁরা বলেন, হাসপাতাল থেকে যখন এটা বলেছে ঝামেলা না বাড়িয়ে নতুন করে এখন আবার ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে।
এখন ‘দুয়ারে সরকার প্রকল্পের তীব্র ঢক্কানিনাদে ফের স্বাস্থ্যসাথীর ৫ লক্ষ টাকা বিমা দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রচার চালানাে হচ্ছে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে। অথচ ওই সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথীতেই দেড় লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য চাইতেই প্রতারিত হতে হলাে মীরা দাসের পরিবারকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.