Hefazat-e-Islam Bangladesh টার্গেট ইসলামিক বাংলাদেশ‌ গড়া, সাফ জানিয়ে দিল হেফাজতে ইসলাম - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

Hefazat-e-Islam Bangladesh টার্গেট ইসলামিক বাংলাদেশ‌ গড়া, সাফ জানিয়ে দিল হেফাজতে ইসলাম

Target Islamic Bangladesh,


বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নয়, ইসলামিক স্টেটের আদর্শে ‘ইসলামিক স্টেট অব বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে হেফাজতে ইসলাম। এমনটাই সাফ জানিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারের পতনের নেপথ্যে থাকা দেশটির কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন হেফাজতের নায়েব-ই-আমির মইনুদ্দিন রব্বানি। তাঁর দাবি, শরিয়ত শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই বাংলাদেশে সুস্থিতি গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা তাই চাইছেন! 


হেফাজতের নায়েব-ই-আমির মইনুদ্দিন রব্বানি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশে সব আইন ইসলামসম্মত হলে, ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম হলে ওই দেশের মঙ্গল হবে। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মুসলমানরা চাইছেন দেশ হয়ে উঠুক, ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ! ইসলামের কায়দা মোতাবেক দেশ চললে, শরিয়ত শাসন কায়েম হলে মুসলমানরা‌ প্রকৃত ইনসাফ পাবেন। শুধু তাই নয়, অমুসলিমরাও ন্যায় পাবেন। বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে এই লক্ষ্যেই কাজ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আমাদের সংগঠন একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংগঠন।'


আরও পড়ুন: Bangladesh পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ নাপছন্দ বাংলাদেশের! ভাঙা হল ১৯৭১ এর স্মৃতিবিজড়িত ভারতের বিজয়-মূর্তি



বাংলাদেশে প্রায় নিয়ম করেই হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটে, সম্প্রতি রাজনৈতিক পালাবদলের পরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি ঢাকা-সহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ভাস্কর্য, রাজশাহিতে সাঁওতাল বিদ্রোহের‌ নায়ক সিধু-কানুর মূর্তি ভাঙা হয়েছে। এই মূর্তি ভাঙার রাজনীতিকে জোরদার সমর্থন করে প্রবীণ এই ইসলামিক নেতা বলেন, “মূর্তি তৈরি ও স্থাপন করা আমাদের শরিয়তে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। সে কারণেই হাসিনার পতনের পর জনগণ বেশকিছু মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। যে মূর্তিগুলি এখনও বাংলাদেশে আছে, তা ভেঙে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ ও আমাদের দাবি,‌ অবিলম্বে বাকি মূর্তিগুলিও সরকারকে ভেঙে ফেলতে হবে। এদেশে কোনও মূর্তি রাখা চলবে‌ না।' 


জামায়তে ইসলামকে সমর্থন‌ করে মইনুদ্দিন রব্বানি বলেন, ‘আওয়ামি সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ করে ঠিক করেনি। যার ফল তাদের ভুগতে হয়েছে। জামাতের ওপর শেখ হাসিনা জুলুম করেছেন। তিনি ওদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছিলেন ক্ষমতার জোরে। আমরা জামাতের নিষিদ্ধকরণের সব সময় বিরোধিতা করেছি। আমরা ভোটে দাঁড়াব না। আওয়ামি লিগকে বলছি,তোমরা যে ভুল করেছ, তার জন্য ক্ষমা চাও। আমরা চাই, সবাই একসঙ্গে থাকুক এদেশে।'


আরও দেখুন : বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমেরিকা নীরব, সারা বিশ্বে মানবাধিকার নিয়ে 'জ্ঞান' দোওয়া হোয়াইট হাউস আজ বলছে- আমাদের কিছু বলার নেই


আহমদিয়া মুসলমানদেরও পছন্দ করে না হেফাজত। এমনটা জানিয়ে হেফাজতের নায়েব ই আমির বলেন, ‘আমরা আহমদিয়াদের মুসলিম বলে মনে করি না। তারা অমুসলিম, কাদিয়ানি। ওরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মতোই অমুসলিম। কারণ, আমাদের নবিজির পরে আর কোনও নবি পৃথিবীতে আসেননি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করা হোক বাংলাদেশে।'


বাংলাদেশে ইসলামিক শাসন কায়েম হলে কাফেরদের সঙ্গে কী করা হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফ জবাব, ‘শরিয়তে কাফেরদের সম্বন্ধে যা বলা আছে, তা-ই করা হবে তাদের সঙ্গে! এর বাইরে কিছু নয়।' 


মহিলাদের হিজাব পরা, গান শোনা এ নিয়ে তিনি বলেন, শরিয়তে হিজাব পরার কথা বলা আছে। আমরাও তাই চাই। ইসলামে যা ঠিক তা আমরা চালু করব বাংলাদেশে। ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও সংস্কৃতি, সংগীতচর্চা আমরা মানি না। আমরা এগুলো বন্ধ করে দেব।' 


সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে হিন্দু মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা উড়িয়ে দিয়ে মইনুদ্দিন রব্বানি বলেন, মন্দিরে হামলা রোখার চেষ্টা আমরা করেছি। আমরা দেখেছি, এ ধরনের একটা-দুটো ঘটনা ঘটেছে।' পালটা তিনি ভারতের হিন্দুদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা যেমন বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির রক্ষা করেছি, ভারতীয় হিন্দুদের বলব, আপনারা তেমনই ওখানে (ভারতে) মুসলিমদের ধর্ম ও মসজিদ রক্ষা করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad