মাঝরাতে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তিন মাসের প্রসূতির পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তৃনমূল কংগ্রেসের নেতার বিরুদ্ধে।
এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে যেখানে বাংলায় টিএমসি (TMC) নেতা তার গুন্ডাদের সাথে মিলে এক মহিলাকে বেধড়ক মারে এমনকি তার তিন মাসের বাচ্চা মেয়েকেও রেহাই দেয়নি। এই ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জীবনতলা থানার রবীন্দ্রনগর গ্রামের, যার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে সর্বত্র।
২৬ বছর বয়সী এই পীড়িতার নাম মধুমিতা হালদার, যার সাথে টিএমসি নেতা বাপী মণ্ডল দুর্ব্যবহার করেছে। সোমবার (২২ শে আগস্ট, ২০২০) রাতে টিএমসি নেতা হঠাৎ পীড়িতার বাড়ি এসে মহিলার স্বামীর সন্ধান করতে শুরু করে। স্বামীকে বাড়িতে পাওয়া না গেলে সে বাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে তারপর ওই মহিলাকে মারধর করে। সেই তৃণমূল নেতা দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে যেন পীড়িতার স্বামীকে হত্যা করতে পারে। বাপি মণ্ডল মহিলার পেটেও লাথি মারে।
৩ মাস আগেই মহিলার সার্জারি হয়েছিল, এই অবস্থায় মহিলার পেটে লাথি মারার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। মধুমিতা কোনরকমে নিজের বাসা থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। সে তার বাচ্চাকে নিয়ে কোনও রকমে থানায় পৌঁছায়।
টিএমসি নেতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জীবনতলা থানার অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফ পুলিশ ফাঁড়িতে টিএমসি নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়ও হতে পারে কারণ পশ্চিমবঙ্গে টিএমসির গুন্ডাদের দ্বারা বিজেপি নেতাদের হত্যার প্রক্রিয়া এখনও বন্ধ হয়নি। এখনও অবধি বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা নিহত হয়েছেন।
মহিলার ঘরেও টিএমসি গুন্ডারা হত্যার অভিপ্রায় নিয়ে চড়াও হয়, এমন পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভাবনাও হতে পারে। পীড়িত মধুমিতা হালদারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাপি মন্ডল সহ সমস্ত গুন্ডাদের অনুসন্ধান চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.