দেশব্যাপী বৃহৎ আকারে বাংলাদেশে গরু চালান ব্যবসায় বাংলার ক্ষমতাসীন তৃণমূলের কিছু নেতার জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসছে।
সূত্রমতে, মামলার তদন্তকারী কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (CBI) শিগগিরই কিছু বড় গ্রেফতার করতে চলেছে। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশে শুক্রবার সিবিআই কর্তৃক এই গ্যাংয়ের মূল পান্ডা এনামুল হককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, সীমান্তের ওপারে গরু পাচারে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। ব্যবসায়ী রাজেন পোদ্দারও সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাত অবধি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র "হিন্দুস্তান সমাচার" কে জানিয়েছে যে ইনামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এই ক্ষমতার ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরুতে ভরা ট্রাক সীমার ওপারে পাঠাতো সে। আসলে, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহার এবং ঝাড়খন্ড থেকে প্রচুর গরু ট্রাকে ভরে পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়।
নিয়ম অনুসারে, পশুর পাচার একটি বড় অপরাধ এবং স্থানীয় পুলিশ এটি থামায় তবে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে পৌঁছানোর সাথে সাথে গরু ভর্তি ট্রাক কোথাও থামানো হতো না। এর কারণ হল ইনামুল হক সারা রাজ্য জুড়ে তার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রেখেছিল এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার ভাগিদারি মজবুত করে রেখেছিল।
যখনই গরু ভর্তি ট্রাক কোন এলাকা দিয়ে যেত তখন পুলিশের কাছে তার পুরো খবর থাকত এবং পুলিশ তা নিরাপদে সীমান্তে পৌছে দিত।
Read more: আদালতে আত্মসমর্পণ করল গরু পাচার কান্ডের মূলচক্রী এনামুল হক, হাজির সতীশ কুমারও।
এই চোরাচালান দ্বারা আয়ের বেশিরভাগ অংশ পুলিশ প্রশাসনের লোকদের হাতে চলে যেত। একই সাথে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানের টাকা ক্ষমতায় থাকা নেতাদের কাছে পাঠানো হতো।
ইনামুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেশ কয়েকজন নেতার নাম প্রকাশিত হয়েছে, যার তালিকা সিবিআই প্রস্তুত করেছে। শীঘ্রই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
খুবিই সম্ভবনা রয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করার। যদি এমন হয় তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের সমস্যা বেড়ে যাবে।
সারদা, নারদা, রোজ ভ্যালির মতো মামলা গুলি ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যদি গরু চোরাচালানের মামলায় দলীয় নেতাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়, তবে সহজেই বিরোধীরা মমতা ব্যানার্জিকে ঘিরে ধরার সুযোগ পেয়ে যাবে।
সিবিআই সূত্র জানিয়েছে যে গরু চোরাচালান থেকে আসা অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাইতে পাঠানো হতো যেখানে বড় আকারে সন্ত্রাসবাদী ফান্ডিং হতো। অর্থাৎ, গরু চোরা-চালানের এই ব্যবসাটি পিছনের দরজা দিয়ে সন্ত্রাসবাদী ফান্ডিং এর জন্যও ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। তাই এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা নেতারা মুশকিলে পড়বে।
বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই বিএসএফের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন যে গরু চোরাচালানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিযান হবে।
এদিকে, এই ব্যবসায় টাকা পাচারের সম্পর্কিত তদন্তের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর Enforcement Director (ED) FIR ও দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
এই চোরাচালান দ্বারা আয়ের বেশিরভাগ অংশ পুলিশ প্রশাসনের লোকদের হাতে চলে যেত। একই সাথে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানের টাকা ক্ষমতায় থাকা নেতাদের কাছে পাঠানো হতো।
ইনামুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেশ কয়েকজন নেতার নাম প্রকাশিত হয়েছে, যার তালিকা সিবিআই প্রস্তুত করেছে। শীঘ্রই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
খুবিই সম্ভবনা রয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করার। যদি এমন হয় তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের সমস্যা বেড়ে যাবে।
সারদা, নারদা, রোজ ভ্যালির মতো মামলা গুলি ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যদি গরু চোরাচালানের মামলায় দলীয় নেতাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়, তবে সহজেই বিরোধীরা মমতা ব্যানার্জিকে ঘিরে ধরার সুযোগ পেয়ে যাবে।
সিবিআই সূত্র জানিয়েছে যে গরু চোরাচালান থেকে আসা অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাইতে পাঠানো হতো যেখানে বড় আকারে সন্ত্রাসবাদী ফান্ডিং হতো। অর্থাৎ, গরু চোরা-চালানের এই ব্যবসাটি পিছনের দরজা দিয়ে সন্ত্রাসবাদী ফান্ডিং এর জন্যও ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। তাই এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা নেতারা মুশকিলে পড়বে।
বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই বিএসএফের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন যে গরু চোরাচালানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিযান হবে।
এদিকে, এই ব্যবসায় টাকা পাচারের সম্পর্কিত তদন্তের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর Enforcement Director (ED) FIR ও দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.