বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিনে আজ রাজ্যসভায় একটি বড় রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে।
রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi) সভার মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন দমবন্ধ হয়ে আসছে। দেশ হীতের ঊর্ধে কিছু নয়। দলীয় স্বার্থ এবং দেশের স্বার্থের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।
এই বলে তিনি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। পদত্যাগের পরে জল্পনা শুরু হয়েছে যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
পদত্যাগ ঘোষণা করার সময় দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভায় বলেন, "প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন একটি মুহুর্ত আসে যখন সে তার অন্তর আত্মার আওয়াজ শুনতে পায়।" আমার জীবনে একই মুহূর্ত এসেছিল। দেশ বড় না দল বড়। আজ যখন আমরা দেখি দেশের পরিস্থিতি কী। পুরো বিশ্ব ভারতের দিকে চেয়ে আছে।
এর আগে তাঁর গলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা যায়।তিনি এও বলেছেন কোভিড কালে দেশ কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করেছে, কোভিডের বিরুদ্ধে দেশ মোকাবিলা করেছে।
I am resigning from Rajya Sabha today. There is violence happening in my state. We cannot speak anything here: TMC Rajya Sabha MP Dinesh Trivedi pic.twitter.com/6xvEYtciwF
— ANI (@ANI) February 12, 2021
দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভায় বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে হিংসা হচ্ছে। আমি বসে বসে ভাবি আমার কি করা উচিত? আসলে আমরা জন্মভূমির জন্যই। কোনও দলে যখন আছি তখন তো তার অনুশাসন আছে। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে যে আমি কিছু করতে পারছি না।
আজ আমার আত্মা আমাকে বলছে যে যদি এখানে বসে চুপ করে বসে থাকি এবং কিছু না করি তবে ইস্তফা দেওয়া উচিত। আমি আজ এখান থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।
দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে TMC সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন, দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগে আমরা দুঃখিত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি আমার সাথে কথা বলেননি। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা আমরা জানি না।
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রীরা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের ঘোষণা মমতার জন্য এক বড় ধাক্কা।
দীনেশ ত্রিবেদী ইউপিএ (UPA) সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের এপ্রিলে তিনি রাজসভার সদস্যতা গ্রহণ করেছিলেন। ত্রিবেদী ১৯৮০ সালে কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করেছিলেন।
এরপরে তিনি ১৯৯০ সালে জনতা দলে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন, তখন ত্রিবেদীও তাঁর সাথে ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.