সিউড়ি: বােমা বাঁধতে গিয়ে শেখ ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তির দুই হাত উড়ে গেল।
দুবরাজপুরের আমুরি গ্রামের ইট ভাটার কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় বাঁশ ঝােপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আহত শেখ ইয়াসিন অজয় নদের চড়ে যেখানে বােমা বাঁধছিল সেই স্থান বীরভূমের দুবরাজপুর থানা এলাকা নাকি পশ্চিম বর্ধমানের অন্তর্গত তা নিয়ে দিনভর চলল টানাপােড়েন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই ব্যক্তির নাম শেখ ইয়াসিন। লােবা পঞ্চায়েতের ঝিরুল গ্রামের বাসিন্দা সে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তাকে আমুরি গ্রামের ইট ভাটার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় বাঁশ ঝােপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে আত্মীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর রেফার করে দেন চিকিৎসক। শেখ ইব্রাহিম নামে তার এক আত্মীয় বলেন, আমি খবর পাই তার দুটি হাত নেই, রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে সে। তাকে আমরা সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আমরা জানিনা কীভাবে সে আহত হয়েছে। তবে দেখে মনে হচ্ছে বােমা ফেটে তার হাত দুটি উড়ে গিয়েছে। আমরা তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসি। এদিকে বােমা বাঁধতে গিয়ে শেখ ইয়াসিন আহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
দিন কয়েক পরই বিধানসভা ভােট বীরভূম জেলায় তার আগে কী উদ্দেশ্যে বােমা বাঁধা হচ্ছিল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পাশাপাশি স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেন অজয় নদের চড়ে বােমা বাঁধা হচ্ছিল। বােমা ফেটে আহত হওয়ার পরই শেখ ইয়াসিনকে ওই ইটভাটার কাছে ফেলে যায় তার সঙ্গীরা।
এরপর দুজপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে গ্রাম থেকে কিছু দূরে অজয় নদের চড়ে বােমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেখানেই দুটি তাজা বােমা পড়ে রয়েছে। পড়ে রয়েছে বােমা ফেটে কেটে পড়া হাতও।
কিন্তু ওই স্থান কোন এলাকার তা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। দুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ওই এলাকা তাদের নয়। বরং পশ্চিম বর্ধমান জেলার ফরিদপুর থানার মধ্যে পড়ে এলাকাটি। যদিও সেখানকার পুলিশ তা মানতে নারাজ। অবশেষে ঘটনাস্থল যে দুবরাজপুর থানা এলাকার তা চিহ্নিত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.