ডায়মন্ড হারবার: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে কেন্দ্র করে এবার তুমুল উত্তেজনা ছড়াল ডায়মন্ড হারবারে।
হরিনাম সংকীর্তনের আসর চলাকালীন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ায়, ভাঙচুর চালিয়ে নামগান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযােগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার থানার উত্তর পঞ্চগ্রাম এলাকার। রবিবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সােমবার সকালে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের উপর পাল্টা চড়াও হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে গ্রামবাসীরা।
পরে খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্য সত্যজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর ডায়মন্ডহারবার থানার বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর পঞ্চগ্রামে রবিবার হরিনাম সংকীর্তন চলাকালীন মহাদেব গায়েন নামে একজন কীর্তনিয়া পালাগান করছিলেন। সীতার বনবাস পালা গান চলাকালীন হনুমানের গলায় যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিল তিনি তা উচ্চারণ করেন।
সেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি মাইকে গ্রামে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নজরে আসে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সত্যজিৎ দাস সহ সত্যেন হালদার, প্রিয়াংশু হালদার এরা হরিনাম সংকীর্তন আসরে ভাঙচুর চালায় এবং অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এমনকি গায়ক মহাদেব গায়েনকেও মারধর করতে উদ্যত হয় তৃনমূলী গুন্ডারা।
ঘটনার পর থেকেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুসতে থাকে। দু’পক্ষই বিষয়টি ডায়মন্ড হারবার থানায় জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মােতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতাের শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার কনভেনর দেবাংশু পান্ডা বলেন, ‘এলাকায় কোনও গণতন্ত্র নেই। সাধারণ মানুষকে তাদের ধর্মাচারণে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। জয় শ্রীরামে ওদের ভয় ঢুকে গিয়েছে। আমি চাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হােক। তবে অভিযােগ মানতে নারাজ তৃণমূল।
পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম অধিকারী বলেন, "পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তৃণমূলের নামে অপপ্রচার করতে চাইছে বিজেপি। বরং, ওদের কর্মীরাই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ধর্মের রাজনীতি ওরা করে, তৃণমূল নয়। শুধু শুধু মিথ্যে অভিযােগ করে কোন লাভ হবে না।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.