ঢাকা : হিন্দু শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাস বাংলাদেশের হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিশাপত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
বিদ্যালয়টি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। অন্যান্য দিনের মতই ১২ আগষ্ট সকালে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে বাড়ির কাছে রাস্তা থেকে একটি সিএনজি অটো রিকশাতে উঠেন।গাড়িটির চালক দ্রুত গতিতে গাড়িটি নিয়ে যেতে থাকে। রাস্তায় অনেক যাত্রী হাত দেখালেও গাড়ি থামায়নি গাড়ির চালক। এরপর চালক মূল রাস্তা ছেড়ে একটি জনবিরল রাস্তায় যেতে থাকে সুপ্তা রাণী দাসের প্রতিবাদ সত্ত্বেও। ওই রাস্তাটি এই শিক্ষিকার অপরিচিত। তিনি চালকের অসৎ লক্ষ্য বুঝতে পেরে চিৎকার করে গাড়ি থামাতে বলেন। চালক অপহরণ ও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাস (৩০) গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন। এর ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। রাস্তায় লোকজন শিক্ষিকাকে পড়ে থাকতে দেখে হবিগঞ্জ মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত হন ওই হিন্দু শিক্ষিকা। ওখানেই তার মৃত্যু ঘটে। চালক এখনও গ্রেফতার হয়নি।
অন্যদিকে জন্মাষ্টমীর দিনে খুলনায় সাতক্ষীরার আস্তাখালি মুত্তাপল্লীতে প্রায় শতাধিক মুসলিম ১০০ আদিবাসী হিন্দুর উপরে আক্রমণ চালায়। এতে মৃত্যু হয় নরেন মুণ্ডার (৬৫) নামে এক আদিবাসীর। আহত হয় আরোও তিনজন মহিলা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শীঘ্র বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে চলা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমূহের একটি হলো মুণ্ডা। অভিযোগ রয়েছে মুণ্ডাদের আট বিঘা জমির দখল নিতে ও আটটি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে শ্রীফলা গ্রামের আব্দুল সরদারের দুই ছেলে রাশিদুল ইসলাম ও এবাদুল হোসেন অনেকদিন ধরে ভয় দেখাচ্ছে। মুন্ডারা যেন দেশ ছেড়ে খালি হাতে ভারতে শরণার্থী হয়, এই চাপ দিচ্ছে দখল নিতে চাওয়া দুই মুসলিম ভাই।
মুণ্ডারা জন্মাষ্টমী পালনে সচেষ্ট থাকার সময়ে ওই মুসলিম ভাই দুটো যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহমেদ তরুণ লীগ সভাপতি আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে বংশীপুর, ঈশ্বরীপুর থেকে দুইশ'র মতো লঠিয়াল মুসলিমকে এনে হামলা চালায়।
সাতক্ষীরা জেলা আদালতের অ্যাডভোকেট অসীম কুমার মণ্ডল জানান, ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী মুণ্ডাদের জমি হস্তান্তর নিষিদ্ধ। কিন্তু জেলাশাসক ওই জমি হস্তান্তরের অনুমতি দিলে তা হস্তান্তর সম্ভব।
দীর্ঘদিন এলাকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা জেলাশাসকের মুসলিমরা দরিদ্র, অজ্ঞ মুণ্ডাদের পদবি বদলে তাদের জমি কিনে নিচ্ছে তথা বিক্রিতে বাধ্য করছে। এই লক্ষ্যে নেতা ও প্রভাবশালীরা অনুমতিপত্র জালিয়াতিও করে চলেছে। ফলে মুণ্ডা সম্প্রদায় এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে।
অন্যদিকে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে রতন কুমার দাস নামে এক অধ্যাপক কে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা কলেজ থেকে পিটিয়ে টেনে হিঁচড়ে আনতে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.