উল্লেখ্য,এর শেষে CAA-তে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লেও তৈরি হয়নি বিধি। তাই এখনও কার্যকর করা যায়নি আইনটি। কিন্তু এবার আইনের ধারা শীঘ্র তৈরি হয়ে যাবে। আর তারপরই তা কার্যকর করা যেতে পারে। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সূত্রের।
১৯৫৫ সালে দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছিল। ৬৪ বছর পর সেই আইন সংশোধন করে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর সংজ্ঞাটি বদলানো হয়। ১৯৫৫ সালের আইনে ২ নম্বর ধারায় বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালের সংশোধনীতে ২ নম্বর ধারাটি সংশোধন করে 2(1)B যুক্ত করা হয়। সেই ধারায় বলা হয়—বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি ও খ্রিস্টানরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর দলে পড়বে না। এই সংশোধনী বিলটি আনার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে আগুন জ্বলে।
আন্দোলনকারীদের মুখে এই দাবি বারবার উঠে আসে যে এই আইন ‘অসাংবিধানিক' ও 'সংবিধানের পরিপন্থী'। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশ্ন করায় কেন্দ্র জানায়, এই আইন পুরোপুরি বৈধ ও সাংবিধানিক। কিন্তু এই আইনের ধারা আজও তৈরি করা যায়নি। বারবারই অতিরিক্ত সময় চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমন গুঞ্জনও ছিল, মোদি সরকার আর ততটা আগ্রহী নয় এই আইন কার্যকর করতে ।
কিন্তু সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, CAA চালু হতে চলেছে শীঘ্রই। আর এবার সামনে এল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকের দাবি৷ তিনি বলেছেন, রুল তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুত অনলাইন পোর্টালও। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই অনলাইন, এবং আবেদনকারীরা চাইলে মোবাইল ফোন থেকেই আবেদন করতে পারবেন। সেইসঙ্গেই তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগেই চালু হতে পারে CAA।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.