আসাম বিধানসভার তিন দিবসীয় শীতকালীন অধিবেশন সোমবার (২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০) শুরু হবে।
বিধানসভায় সরকার মাদ্রাসা গুলিতে প্রদত্ত সহায়তা বাতিলের জন্য একটি বিল উপস্থাপন করবে। শিক্ষামন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি টুইট করেছেন, "আজ আমি মাদ্রাসার প্রাদেশিকী করণকে নিরস্ত্র করার জন্য একটি বিল পেশ করবো। বিলটি পাস হওয়ার পরে আসাম সরকার কর্তৃক মাদ্রাসা চালানোর প্রথা শেষ হবে। এই প্রথা স্বধীনতা পূর্ব আসামে মুসলিম লীগ সরকার দ্বারা চালু করা হয়েছিল।"
Three-day winter session of Assam Legislative Assembly begins today. https://t.co/Cx02EHa1bB
— ANI (@ANI) December 28, 2020
সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসা এবং আরবি কলেজগুলির সরকারী সহায়তা বন্ধ করা হবে। পরবর্তী একাডেমিক অধিবেশন থেকে, রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড বিলুপ্ত করা হবে এবং এর সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রম মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে স্থানান্তরিত করা হবে।
মাদ্রাসায় ধর্মীয় পাঠ্যক্রম পড়ানো শিক্ষকদের সাধারণ বিষয় পড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সম্পর্কে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শর্মা বলেন, “এটি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষ করে তুলবে।
আমরা স্বাধীনতা পূর্ব ভারতের ইসলামিক ধর্মীয় পড়াশোনার জন্য সরকারী অর্থ ব্যবহারের প্রথা সমাপ্ত করছি। মাদ্রাসাগুলিকে সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে। "
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারী মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পরে সরকার বিধানসভায় বিলটি প্রবর্তনের পরিকল্পনা করেছিল।
শিক্ষামন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা অক্টোবরে বলেছিলেন যে আসামে মোট ৬১৪ টি সরকারী এবং ৯০০ টি বেসরকারী মাদ্রাসা রয়েছে। সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বছরে ২৬০ কোটি টাকা ব্যয় করে। রাজ্যে প্রায় ১০০ টি সরকারী সংস্কৃত টোল (সংস্কৃত বিদ্যালয়) এবং ৫০০-র অধিক বেসরকারী টোল রয়েছে।
সরকার প্রতি বছর মাদ্রাসায় প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা এবং সংস্কৃত টোলে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করে। এখন রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অসম সমাপ্ত হবে। সমস্ত সরকারী মাদ্রাসা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নামাঙ্কন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মতো হবে।
তিনি বলেন যে রাজ্য সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের জনসাধারণের তহবিল ব্যবহার করে কুরআন শিক্ষা দেওয়া বা প্রচার করা উচিত নয়।
তিনি বলেন সরকারী মাদ্রাসাগুলির কারণে কিছু সংগঠন স্কুলগুলিতেও ভাগবদ গীতা এবং বাইবেল পড়ানোর দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু সমস্ত ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে বিদ্যালয় পরিচালনা সম্ভব নয়। এআইইউডিএফ AIUDF -এর মতো দলগুলির বিরোধিতা সত্ত্বেও শর্মা বলেছেন রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বদলাবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.