মালদহ: দেহব্যবসা করার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হত তাঁকে। তা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটিও হয়েছে বহুবার।
তবে সেসবে রাজি হননি তিনি। স্বামীর কথা না শােনায় ক্রমশ ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল স্বামীর মনে। প্রতিশােধ নিতে চার বন্ধুকে দিয়ে নিজের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করানাের অভিযােগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণী বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি।
বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি কলেজে নার্সিং ট্রেনিং করছিলেন ওই তরুণী। তিনি মালদহের পােখরিয়া থানার হরিপুরের বাসিন্দা। মহারাজনগরের বাসিন্দা আনিমুর ইসলাম এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। ওই যুবক মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ করে।
লকডাউনের সময় বেঙ্গালুরু থেকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন ওই তরুণী। অভিযােগ, তারপর থেকেই ক্রমাগত স্বামী তাঁকে দেহব্যবসায় নামার জন্য চাপ দিতো।
ঝগড়াঝাটি হয়েছে এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন। তা সত্ত্বেও স্বামী ওই তরুণীর আপত্তিতে কান দিতে নারাজ। অশান্তির জেরে গত ২১ অক্টোবর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযােগও জানিয়েছিলেন তরুণী।তারপর থেকে স্বামী মেসে থাকছিলেন।
১৯ ডিসেম্বর ওই মেসে স্বামীকে খাবার দিতে যান তরুণী। অভিযােগ, স্বামীর মদতে তার চার বন্ধু তরুণী মাদকের নেশায় বুদ করে দেয়। তারপর চারজন মিলে চলে গণধর্ষণ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণী।
হাত বাঁধা অবস্থায় তাঁকে ইটাহারের চৌরাস্তার কাছে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। ইটাহার থানার পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। প্রথমে ইটাহার ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.