কলকাতা: আসানসােলের প্রাক্তন মেয়র এবং প্রশাসক বাের্ডের প্রধান জিতেন্দ্র তিওয়ারির পর এবার বহরমপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য।
দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আরও এক তৃণমূল নেতা রাখঢাক না করেই বললেন, তৃণমূলে কোনও সম্মান নেই। এমনই দলের জেলা সভাপতি ও সাংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও অভিযােগ করেছেন নীলরতনবাবু।
পাল্টা মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহেরের অভিযােগ, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যােগসাজশ করেই এই ধরনের অভিযােগ করছেন নীলরতন আঢ্য। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বহরমপুরের সাংসদ পদে রয়েছেন নীলরতন আট্য।
একসময় কংগ্রেসে অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন নীলরতনবাবু। তৃণমূলে যােগ দেওয়ার পর গত কয়েক বছরে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। কারণ তৃণমূলের তরফে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বও দীর্ঘদিন সামলেছেন তিনি।
ক্ষুব্ধ নীলরতনবাবুর অভিযােগ, রাজ্য জুড়ে বহু পুরসভায় পুরবাের্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানে প্রাক্তন পুর প্রধানদেরকেই প্রশাসক হিসেবে বসানাে হলেও বহরমপুরের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরের উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলে কোনও ভালমন্দ আলােচনায়। আমাদের ডাকা হয় না। কারণ ডাকলে অনেকের অসুবিধে হবে না।
পার্টি অফিসে গােষ্ঠীবাজি করছে। বেশ কিছু মানুষ রােজগারের জন্য দল করছে। মানুষ খেতে পেল কি পেল, তা তাঁরা ভাবছেন না। আমরা পার্টি অফিসে বসে এসব করতে দেব না।'
নীলরতনবাবুর আরও অভিযােগ, দুর্নীতি নিয়ে জেলা সভাপতি এবং মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহেরকে একাধিকবার অভিযােগ জানালেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি।
নীলরতনবাবুর এই অভিযোেগ মানতে নারাজ আবু তাহের। তাঁর অভিযােগ, দলের কাজে সময়ই দেন না নীলরতনবাবু। দলীয় কার্যালয়েও আসেন না তিনি। বরং প্রশাসক হওয়ার জন্য বার বার তাঁকে ফোন করে অনুরােধ করেছেন।
অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করার পরই তিনি এই ধরনের অভিযােগ করেছেন বলেও দাবি করেছেন দলের জেলা সভাপতি। যদিও এই অভিযােগ খারিজ করে। দিয়ে নীলরতনবাবুর পাল্টা দাবি, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর ৪৫ বছরের সম্পর্ক।
সৌজন্যের খাতিরেই তিনি বহরমপুরের সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন নীলরতনবাবু। পাল্টা তাঁর প্রশ্ন, 'মুখ্যমন্ত্রীও তে বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর গাড়িতে তুলেছেন। তিনি তো বিজেপির নেতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.