২০১৯-এর লােকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২২টি আসনে জয়লাভ করেছিল।
এর মধ্যে একজন ছিলেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তিনি ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যােগদান করেছিলেন।
সেই সুনীল মণ্ডল রবিবার কাঁকসার চা চক্রে যােগ দিয়ে জানান, তৃণমূলের ১৬ জন সাংসদ আগামী দিনে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। যদিও তারা কারা, সে নিয়ে সুস্পষ্ট মন্তব্য করতে রাজি হননি সুনীলবাবু।
তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরাতে মরিয়া বিজেপি। বিধায়কদের বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দিয়েছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন বিধায়করা চলে গেলেও সাংসদরা যাবেন না। কারণ, বিধায়কতদের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু সাংসদদের এখনও সাড়ে তিন বছর মেয়াদ রয়েছে। কিছুটা হলেও এই ধারণাকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল।
সম্প্রতি তিনি বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। ফলে তার এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অর্জুন সিংও এদিন এমনই মন্তব্য করেছেন বারাকপুরে। তাঁর দাবী মার্চ মাসের মধ্যে তৃণমূল সঙ্কটে পড়বে।
এক ধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, ভােটের আগে তৃণমূল পরিচালিত সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। তাদের এই মন্তব্যের সঙ্গে আগামী দিনে বাস্তবের কোনও মিল থাকে আছে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘আর নয় অন্যায়' কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত এদিন বলেন, মন্ত্রীদের আয়ু আর বেশি দিন নেই। মাত্র ছমাস। তারপর তাদের স্থান কোথায় হবে বাংলার মানুষ দেখতে পাবেন। পুলিশ বন্ধুদের বলছি, আপনারা তাে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করবেন, আর ক্রীতদাস হবেন না দিন বদলাবে।
ফলে ধমকানাে চমকানাে বন্ধ করুন আপনারা সবাই খারাপ নন, মনে রাখবেন আপনাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, যাঁরা IPS তারা কিন্তু রাতের অন্ধকারে আমাদের সঙ্গে যােগাযােগ করছেন। আর আপনারা কেন তাদের কথায় মুরগি হচ্ছেন। চোখ-কান খােলা রাখুন, বাস্তবটা বুঝতে শিখুন। সেকারণেই বলছি মােরগ হয়ে বাঁচুন, মানুষ হয়ে বাঁচুন, কিন্তু মুরগি হবেন না।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.