আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা বীরেন্দ্র গানেদিওয়ালা (Pushpa Virendra Ganediwala)।
এবার পকসাে আইনে তিনি এক যুবককে ধর্ষণের অভিযােগ থেকে বেকসুর খালাস করলেন। বিচারপতি গানেদিওয়ালার যুক্তি কোনও একজন ব্যক্তির পক্ষে কোন একটি মেয়েকে গলা টিপে তাঁর নিজের পােশাক খুলে ধর্ষণ করা কখনই সম্ভব নয়, সেটাও আবার কোনও ধস্তাধস্তি ছাড়া।
মামলাটি ২০১৩ সালের। বর্তমালের বাসিন্দা তরুণীর মায়ের অভিযােগ, প্রতিবেশী যুবক সুরজ কাসারকর তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে তার ১৫ বছরের মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি বয়ান দিয়েছিল সুরজ মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে তার গলা টিপে ধরে। তারপর তার ও নিজের পােশাক খুলে বলপূর্বক তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। মেয়েটির মা চলে আসায় তড়িঘড়ি নিজের জামাকাপড় নিয়ে পালায় যুবকটি।
মেয়েটি তার মাকে সব কথা খুলে বলার পর তারা থানায় অভিযােগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের আইনজীবীর অবশ্য দাবি ছেলে ও মেয়ে উভয়ের পারস্পরিক সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘটনার সময় দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল।
বিচারক গানেদিওয়ালার বক্তব্য, নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে কোর্ট পুরাে বিষয়টি কে বিশ্বাসযােগ্য বলে মনে করছে না। মেয়েটি যা বলেছে তা কোনও একটি মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আর বলপূর্বক যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয় হলে দুপক্ষের ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকতাে।
মেডিকেল রিপাের্টে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে আইনজীবীর দাবী। ফলে এখানে সহমতের ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্কের যুক্তিই জোরদার বলে গ্রহণ করা হচ্ছে। বিচারপতির মতে, আইন অনুযায়ী সাজা যত কঠিন হবে প্রমাণও ততটাই জোরদার হওয়া প্রয়ােজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.