অবৈধ তো আছেই, এমনকি বৈধ খনি থেকেও কোটি কোটি টাকার কয়লা পাচার হয়েছে।
এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে ইসিএল (ECL)-র সালানপুর এলাকার বনজেমারী ও মােহনপুর খােলা মুখ খনি থেকে বেসরকারি এক পরিবহণ ঠিকা সংস্থা গত ৫ বছর ধরে কয়লা পাচার চালিয়ে আসছে।
এই খনির কয়লা উত্তোলন করে ইসিএল (ECL), আর পরিবহণ করানাে হয় বেসরকারি ঠিকা সংস্থাকে দিয়ে। অভিযােগ এই ঠিকা সংস্থার মালিক জনৈক শর্মা ইসিএলের কয়লা পাচার করতাে মাফিয়া লালা ওরফে অনুজ মাজি (Anuj Majhi)-র মাধ্যমে।
সিবিআই (CBI) হদিস পেয়েছে ঠিকা সংস্থার মালিক ইসিএলের সালানপুর এলাকার বনজেমারী ও মােহনপুর খােলা মুখ খনি থেকে গত ৫ বছর ধরে কোটি কোটি টাকার কয়লা পাচার করে আসছে।
এই পাচার চক্রের পিছনে ইসিএলের সালানপুর এলাকার জিএম অফিসে কিছু আধিকারিকের বিরুদ্ধেও অভিযােগ উঠেছে। খনির কাটা বাবুদের বিরুদ্ধে এই পাচার চক্রের নাম জড়িয়েছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। জানা গেছে, দুবছর আগে ঐ সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে কয়লা চুরির অভিযোগে সালানপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলা দায়ের করেছিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্ন উঠেছে ঐ ঠিকা সংস্থা কি করে পরিবহণের বরাত পান। সেই অভিযােগের তীর ইসিএলের সালানপুর এলাকার জিএম অফিসের বিরুদ্ধে।
সিবিআই জানতে পেরেছে ঐ ঠিকা সংস্থার মালিকের ও ইসিএলের সালানপুর এলাকার কিছু আধিকারিকের সঙ্গে লালার মধুর সম্পর্ক ছিল।
অবৈধ ও বৈধ খনি থেকে কয়লা পাচার নিয়ে সিবিআই তদন্তে লালার যথেষ্ট প্রভাব ছিল তা জানা গেলেও যারা ইসিএলের কয়লা পরিবহণ করে কোটি কোটি টাকার কয়লা পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.