ছাত্র জীবনে নকশাল। পরে তারকা জীবনের প্রথমে CPIM-র সুভাষ চক্রবর্তী (Subhas Chakraborty)-র লাল পতাকার তলায় প্রচার। তার পর জঙ্গিপুর লােকসভা ভােটে কংগ্রেসের মঞ্চে প্রণব মুখােপাধ্যায় (Pranab Mukherjee)-র পাশে দাঁড়ানাে।
তৃতীয় পর্বে মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য। রাজনীতির ট্রাপিজে ব্যালান্স করতে করতে মিঠুন চক্রবর্তী এ বার পদ্ম শােভিত ব্রিগেডের সমাবেশে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদীর পাশে।
শুধু তাই নয় জয় বিজেপি স্লোগান দিয়ে তিনি প্রতিপক্ষের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি শুনিয়ে রাখলেন, “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবােড়াও নই। আমি কোবরা, আমি জাত গােখরাে, এক ছােবলেই ছবি। এ বার কিন্তু এটাই হবে। দাদার কথায় ভরসা রাখবেন।
সেই সঙ্গেই মনে করিয়ে দিলেন তাঁর পুরনাে ফিল্মি সংলাপ, “মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।” রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, “মিঠুনদা শহরে এসে গিয়েছেন।
বেশ কয়েক দশক বাংলা-ছাড়া এই বাঙালি তারকার বিজেপির মঞ্চে আবির্ভাব ধুতি-পাঞ্জাবিতে। রাজ্যজয়’-এর লক্ষ্যে নেমে কেন্দ্রের শাসক দল কি এই ‘বাঙালি বাবু’কে তুলে ধরতে চাইছে? তিনি কি তবে ‘দিদির পাল্টা ‘দাদা?
মিঠুনের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “পিকচার আভি বাকি হ্যায়।” মিঠুনের ‘মুখ’ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষের বক্তব্য, “দল যদি মনে করে, করবে। আমিও বলছি, পিকচার আভি বাকি হ্যায়।”
Read more: প্রথম জীবনে নকশালবাদের সাথে জড়িত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, একটি ঘটনার পরে মোহভঙ্গ হয়ে হলেন বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার।
ব্রিগেডের ‘বঙ্গ মঞ্চে কৈলাস এবং দিলীপ বাবুর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে ওই দলে যােগদান করেন মিঠুন। যদিও কয়েক দিন আগে RSS প্রধান মােহন ভাগবত মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পরে মিঠুন দাবি করেছিলেন, তিনি রাজনীতিতে আসবেন না।
দিলীপ বাবু এ দিন পরে বলেন, “উনি যে আজ দলে যােগ দেবেন জানতাম না। বিজেপির বিজয়’-এর লক্ষ্যে ডাকা এ দিনের সমাবেশে ‘দাদা'র বক্তৃতার অনেকটা অংশ ছিল হিন্দিতে।
ওই মঞ্চে বক্তৃতায় মিঠুন উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানে তাঁর অতি সাধারণ পরিবারে বড় হয়ে ওঠার কথা ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন, “১৮ বছর বয়স থেকে স্বপ্ন ছিল, গরিবের সঙ্গে থাকব। তাদের উপকার করব, সম্মান দেব।
কিন্তু এই স্বপ্ন কখনও দেখিনি যে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেতা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকব।” মিঠুন বলেন, “আমি বাঙালি, আমি গর্বিত। এ বছর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ১৫০ তম জন্মদিন।আমরা যেন ভুলে না যাই। রানি রাসমণি, বিদ্যাসাগরকে ভুলে যাবেন না।
নিজের বিজেপিতে যােগ দেওয়ার কারণ হিসাবে বক্তৃতার পরে মিঠুন আরও ব্যাখ্যা দেন, “একটা দল গরিবের জন্য ভাবছে, কাজ করছে। গরিবের জন্য কিছু করার স্বপ্ন সফল করতে হলে কারও হাত তাে ধরতে হবে! কৈলাসজি, দিলীপদা দের পরিশ্রমে বিজেপি এখানে যে জায়গায় এসেছে, তাতে নিশ্চিত ভাবেই সরকার গড়বে।
নিজের তৃণমূল করাকে নিজের ‘বাজে সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে মিঠুন বলেন, “তৃণমূল আমাকে সাংসদ করেছিল। আমি ছেড়েছি। কিন্তু কারও দিকে আঙুল তুলিনি।” মােদীও বলেন, “আজ আমাদের বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তীও উপস্থিত আছেন। তিনি তাঁর কর্মকাণ্ড লােকনাথ বাবার আশীর্বাদে লােকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।”
ব্রিগেডের ‘বঙ্গ মঞ্চে কৈলাস এবং দিলীপ বাবুর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে ওই দলে যােগদান করেন মিঠুন। যদিও কয়েক দিন আগে RSS প্রধান মােহন ভাগবত মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পরে মিঠুন দাবি করেছিলেন, তিনি রাজনীতিতে আসবেন না।
দিলীপ বাবু এ দিন পরে বলেন, “উনি যে আজ দলে যােগ দেবেন জানতাম না। বিজেপির বিজয়’-এর লক্ষ্যে ডাকা এ দিনের সমাবেশে ‘দাদা'র বক্তৃতার অনেকটা অংশ ছিল হিন্দিতে।
ওই মঞ্চে বক্তৃতায় মিঠুন উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানে তাঁর অতি সাধারণ পরিবারে বড় হয়ে ওঠার কথা ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন, “১৮ বছর বয়স থেকে স্বপ্ন ছিল, গরিবের সঙ্গে থাকব। তাদের উপকার করব, সম্মান দেব।
কিন্তু এই স্বপ্ন কখনও দেখিনি যে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেতা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকব।” মিঠুন বলেন, “আমি বাঙালি, আমি গর্বিত। এ বছর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ১৫০ তম জন্মদিন।আমরা যেন ভুলে না যাই। রানি রাসমণি, বিদ্যাসাগরকে ভুলে যাবেন না।
নিজের বিজেপিতে যােগ দেওয়ার কারণ হিসাবে বক্তৃতার পরে মিঠুন আরও ব্যাখ্যা দেন, “একটা দল গরিবের জন্য ভাবছে, কাজ করছে। গরিবের জন্য কিছু করার স্বপ্ন সফল করতে হলে কারও হাত তাে ধরতে হবে! কৈলাসজি, দিলীপদা দের পরিশ্রমে বিজেপি এখানে যে জায়গায় এসেছে, তাতে নিশ্চিত ভাবেই সরকার গড়বে।
নিজের তৃণমূল করাকে নিজের ‘বাজে সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে মিঠুন বলেন, “তৃণমূল আমাকে সাংসদ করেছিল। আমি ছেড়েছি। কিন্তু কারও দিকে আঙুল তুলিনি।” মােদীও বলেন, “আজ আমাদের বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তীও উপস্থিত আছেন। তিনি তাঁর কর্মকাণ্ড লােকনাথ বাবার আশীর্বাদে লােকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.