ঢাকা: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা বারবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
এরকমই আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক ভাঙচুরের ঘটনায় দুষ্কৃতিরা একটি মন্দিরে হামলা করে এবং মা কালির প্রতিমাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার উত্তরাগাঁও গ্রামের। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ ২০২১) রাতে একটি মন্দিরে কিছু দুর্বৃত্ত হিন্দু দেবী মা কালির প্রতিমাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, "হামলাকারীরা মন্দিরটি ভাঙচুর করে এবং মা কালীর প্রতিমা পুড়িয়ে দেয়।"
রানীশংকৈল (Ranisankail) থানার অফিসার জাহিদ ইকবাল জানান, "রাত ৯ টার দিকে গ্রামের শান্নো চন্দ্রের বাড়ির সংলগ্ন একটি কালি মন্দিরে একদল লোক প্রতিমাটি ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং পরে পালিয়ে যায়।" পুলিশ জানিয়েছে, "ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবে ততক্ষণে মূর্তিটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।"
পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধনা বসাক (Sadhana Basak) বলেছেন যে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বুধবার (১৭ মার্চ, ২০২১), হাজার হাজার মুসলিম জনতা একটি হিন্দু গ্রামে আক্রমণ করেছিল। ইসলামিক সংগঠন 'হেফাজতে ইসলাম' (Hefazat-e-Islam) এর ব্যানার নিয়ে হিন্দু গ্রামে আক্রমণ করেছিল।
Read more: মুর্শিদাবাদ জেলার আলমপুর গ্রামে কালী মন্দিরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল মা কালীর মূর্তি।
সুনামগঞ্জ জেলার 'শাল্লা উপজেলা' এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হিন্দু গ্রামে হামলার পিছনে যে কারণটি ছিল তা হল শুধুমাত্র এক হিন্দু ব্যক্তি সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি মামুনুলের দেওয়া উগ্র বক্তৃতার সমালোচনা করেছিলেন।
নোয়াগাঁওয়ের এক হিন্দু যুবক সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে মামুনুলের সমালোচনা করেছিলেন। মাওলানা তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন।
সুনামগঞ্জ জেলার 'শাল্লা উপজেলা' এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হিন্দু গ্রামে হামলার পিছনে যে কারণটি ছিল তা হল শুধুমাত্র এক হিন্দু ব্যক্তি সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি মামুনুলের দেওয়া উগ্র বক্তৃতার সমালোচনা করেছিলেন।
নোয়াগাঁওয়ের এক হিন্দু যুবক সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে মামুনুলের সমালোচনা করেছিলেন। মাওলানা তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন।
যখনই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে সাথে সাথে কয়েক হাজার মুসলিম জনতা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হিন্দু গ্রামে আক্রমণ করে।
নিকটবর্তী মুসলিম বহুল অঞ্চল থেকে 'হেফাজতে ইসলাম' এর সমর্থকরা সেখানে দেশীয় হাতিয়ার নিয়ে উপস্থিত হয়। বুধবার সকাল ৯ টা থেকেই হিন্দুদের বাড়িতে হামলা শুরু হয়েছিল। এই ঘটনায় ৮০ টিরও বেশি হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
হাবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল (Vivekananda Majumder Bakul) বলেন, এই ঘটনায় বহু হিন্দু বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুরা ভিড় থেকে বাঁচতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশের হিন্দু কর্মী রাজু দাস বলেন এই সময়ে ৮৮ টি বাড়ি এবং ৮ টি মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.