শীতলকুচির গুলি চালানোর ভিডিও প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা, বলেছেন- 'মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য এই ঘটনার জন্য দায়ী'। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

শীতলকুচির গুলি চালানোর ভিডিও প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা, বলেছেন- 'মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য এই ঘটনার জন্য দায়ী'।

কোচবিহার: অরবিন্দ মেনন (Arvind Menon) দাবি করলেন ৮ এপ্রিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র বক্তব্য এই ঘটনার জন্য দায়ী।

bjp leader released video of sitalkuchi

কোচবিহার (Coochbehar) জেলার শীতলকুচি (Sitalkuchi)-তে কেন্দ্রীয় বাহিনী কর্তৃক ১০ এপ্রিল চতুর্থ পর্বের ভোটগ্রহণের সময় চারজনের মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এই ভিডিওটি প্রকাশ করে অরবিন্দ মেনন দাবি করেছেন ১০ এপ্রিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তা এই ঘটনার জন্য দায়ী।


অমিত মালাভিয়া (Amit Malviya) টুইট করে বলেছেন এই ভিডিওটি প্রমাণ করে যে ৮ ই এপ্রিল মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য হিংসার জন্য দায়ী। সিআইএসএফ (CISF) এবং বুথের ওপর জনতার ভীড় দ্বারা প্রাণঘাতী হামলা হয়। কোচবিহারের এসপি এবং পোলিং অফিসার এটি নিশ্চিত করেছেন। মমতা নির্বাচনকে সাম্প্রদায়িক রং দিচ্ছেন।

জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা করার চেষ্টা করছে:


প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ফায়ারিং (Firing) এর আগে বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। ভোটকেন্দ্রের কাছে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছেও এমনকি ভোটকেন্দ্রে -র দরজায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করছে। কি কারণে কেন তারা এটি করছে তা পরিষ্কার নয়।

আরোও পড়ুন: কোচবিহারের শীতলকুচিতে যেখানে কাল ফায়ারিং হয়েছিল সেখান থেকে আজ ১০ কিমি দূরে বোমা উদ্ধার হল, এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।

প্রিজাইডিং অফিসার জানান বুথ দখল এবং ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখার প্রয়াসে এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল, এর পরে বিপুল সংখ্যক লোক লাঠি ডান্ডা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে বুথে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছিল।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে ভোটের ঠিক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন।

নির্বাচন কমিশন বলেছিল যে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানো হয়েছিল:


ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তারা লাঠি-ডান্ডা নিয়ে জওয়ান- দের ওপর হামলা করার চেষ্টা করছে। এতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীদেরও দেখা যাচ্ছে, যেখানে জনতার ভিড় লাঠি-ডান্ডা নিয়ে তাদেরই ধমক দিচ্ছেন। ভিডিওতে গুলি চালার আওয়াজ এবং রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

গুলি চালানোর পরেও লোকেরা তাদের জায়গা থেকে পালিয়ে যায়নি এবং ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছে। এমনকি প্রিজাইডিং অফিসারকেও মারধর করা হয়েছে। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আধিকারিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad