মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল, ২০২১) বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় কিছু লোক হিন্দুদের ঘরবাড়ি এবং একটি মন্দিরে হামলা করে।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জের ফুলতলা গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করা হয় এবং মন্দিরে রাখা তিনটি দেবদেবীর মূর্তি ভেঙে ফেলে হয়। পুরো ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা ট্রিবিউন জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১ টায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হামলা হয়। স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা ভুক্তভোগীর হিন্দু পরিবারের মেয়েকে অপহরণ তার শারীরিক শোষণ করতে চেয়েছিল।
গোবিন্দ বাউলিয়া নামে এক ভুক্তভোগী যুবক জানান, হামলাকারীরা রাতে তার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তার ভাতিজিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই হামলায় তার ভাই সহ ৮-১০ জন আহত হয়েছিল।
The attackers wanted to abduct the victim’s daughter following a dispute between the two parties regarding the harassment of the girl, say localshttps://t.co/1nNMkyAdOI
— DhakaTribune (@DhakaTribune) April 14, 2021
স্থানীয়রা জানান, দুষ্কৃতীরা প্রায়ই অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়ন- রত যতীন বাউলিয়ার মেয়েকে জ্বালাতন করতো। এ কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হয় এবং মঙ্গলবার তাদের উপর হামলা হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব হামলার সাথে জড়িত লোকদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।”
আরোও পড়ুন: বাংলাদেশে ৪০০ বছরের পুরানো শ্মশান ও রাধা গোবিন্দ আশ্রমে আগুন লাগানো হল। মূর্তি ও রথ জ্বলে ছাই।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই ঘটনার আগে, ৩০ মার্চ বাংলাদেশে অন্য একটি মন্দিরকে হামলা করার ঘটনা সামনে এসেছিল। ঘটনাটি বাগুড়া জেলার ধুনোট উপজেলার একটি মন্দিরে ঘটেছিল, যেখানে মা সরস্বতীর মূর্তিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক সুমোতি রানী শেবায়েত জানিয়েছিলেন যে তিনি রাতে পূজা শেষে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ভোর ৪ টায় ফিরে এসে দেখি মন্দিরের বেড়া এবং কিছু কাপড় জ্বলছে। আতঙ্কে যখন মন্দিরে যায় তখন দেখি মায়ের মাথাটি প্রতিমা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল এবং তার হাতগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই ঘটনার আগে, ৩০ মার্চ বাংলাদেশে অন্য একটি মন্দিরকে হামলা করার ঘটনা সামনে এসেছিল। ঘটনাটি বাগুড়া জেলার ধুনোট উপজেলার একটি মন্দিরে ঘটেছিল, যেখানে মা সরস্বতীর মূর্তিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক সুমোতি রানী শেবায়েত জানিয়েছিলেন যে তিনি রাতে পূজা শেষে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ভোর ৪ টায় ফিরে এসে দেখি মন্দিরের বেড়া এবং কিছু কাপড় জ্বলছে। আতঙ্কে যখন মন্দিরে যায় তখন দেখি মায়ের মাথাটি প্রতিমা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল এবং তার হাতগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.