রাজ্যে ভােট পর্বের সূচনা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।
তারপর ভােটপর্ব যত এগিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সুর তত চড়াও হয়েছে। এবার সরাসরি ভােটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তৃণমূল নেত্রীর অভিযােগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূল সমর্থকদের ভােট দিতে বাধা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে কীভাবে ভােট দিতে হবে, এ দিন কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের সভা থেকে সেই নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আলােড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযােগ জানিয়েছে বিজেপি।
বুধবার কোচবিহারের সভা থেকে তিনি বলেন ‘সিআরপিএফ (CRPF),কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্যের ফোর্স যদি বলে ভােট দিতে যাবেন না, বলবেন তােমাদের কথা শুনব না। সবার নামে ডায়েরি করবেন, আর যদি কোনও প্রার্থীর গায়ে হাত দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর (FIR) করবেন। মার খাওয়া অবস্থাতেও প্রার্থী এলাকায় ঘুরবেন।
এমন কাউকে এজেন্ট করবেন না যে দুর্বল। তার থেকে বঙ্গ জননী, কন্যাশ্রীর মেয়েদের, মাদ্রাসার ছেলেদের এজেন্ট করে দিন। যাঁরা ভয় পায় না, বাঘের মতাে লড়বে।
We want free & fair polls, public should be allowed to cast their votes. CRPF shouldn't obstruct them from entering the polling center. I respect CRPF who are real jawans but I don't respect BJP CRPF who are doing nuisance, attacking women & harassing people: WB CM in Cooch Behar pic.twitter.com/RTAQ1EDGD7
— ANI (@ANI) April 7, 2021
নির্বাচনের শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযােগ করে আসছেন
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনে
বিজেপির হয়ে কাজ করছে। বিজেপিকে ভােট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযােগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, রাজ্য পুলিশের একাংশকে নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিআরপিএফ (CRPF) যদি গন্ডগােল করে, আপনারা মেয়েরা একদল ওদের ঘেরাও করে রাখবেন, আর একদল ভােট দিতে যাবেন। শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভােটটা দেওয়া হবে না। এটাই বিজেপির চাল, ফলে ভােট নষ্ট করবেন না।
পাঁচজন ঘেরাও করবেন, পাঁচজন ভােট দেবেন। গ্রামে ভয় দেখালে কথা বলবেন, পরিস্থিতি দেখে নেবেন। যদি বলে যে সারা জায়গায় ১৪৪ ধারা, তাহলে জানবেন এটা ইচ্ছে করে মিথ্যে ছড়াচ্ছে। যাতে মানুষ একসঙ্গে জোট বেঁধে না বেরােয় সেই জন্য মিথ্যে কথা ছড়িয়ে বেড়ায়।
এ দিন রাজ্য পুলিশকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃতীয় দফার নির্বাচনে যে ভাবে হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য, তার জন্য বিজেপি এবং পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই দায়ী করেছেন মমতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.