চন্দননগর: প্রধানমন্ত্রী যােজনার নাম করে ফোন। সেই ফোনে সাড়া দিয়েই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে খােয়া গেল ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ১০৪ টাকা।
টানা দু'মাস কেটে গেলেও পুলিশের জালে ধরা পরল না প্রতারক। ঘটনাটি চন্দননগর থানার বড়বাজার এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দা তথা পেশায় রেল কর্মী সুশীল কুমার চালের কন্যা অন্বেষা চাল (২৫)। অন্বেষা চন্দননগর পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অন্বেষার মােবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারের ব্যক্তি নিজেকে দীপক রায় পরিচয় দিয়ে বলে আমি ফোন পে (PhonePe)-র সিনিয়ার অফিসার বলছি। আপনার ফোন পে-তে প্রধানমন্ত্রী যােজনা থেকে একটা ৪ হাজার ৮০০ টাকার গিফট ভাউচার এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে অন্বেষা ফোন পে- তে চেক করে দেখেন একটা গিফট ভাউচারের মেসেজ এসেছে।
ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি অন্বেষাকে বলে মেসেজের রিড ইনে ক্লিক করতে। কিন্তু সেখানে কোন রিড ইন নয়, শুধুমাত্র সেন্ড অপশন ছিল। দীপকের কথা মতাে সেই সেন্ড অপশনে ক্লিক করতেই ওটিপি আসে অন্বেষার ফোনে, সেই ওটিপি (OTP) বলতেই প্রথমে ৪ হাজার ৮০০ টাকা ডেবিটেড হয়ে যায়।
সেই টাকা ফেরতের আশায় এক এক করে মােট ২৩ বার সেন্ড অপশনে ক্লিক ও ওটিপি বলে দেওয়ায় বিভিন্ন অঙ্কের টাকা কেটে মােট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ১০৪ টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযােগ।
এর মধ্যে মাঝে কয়েক বার টাকা ক্রেডিটেডও হয়েছিল। সেই বিশ্বাসে বারবার একই ভুল করে এত গুলাে টাকা খােয়া যায় অন্বেষার। তারপর চন্দননগর থানা ও চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলে অভিযােগ জানালেও আজ অবধি কোনও কাজ হয়নি।
অন্বেষার বাবা সুশীল কুমার চাল বলেন, চলতি মাসের আমার অবসর গ্রহণের পালা। শরীরের অবস্থা ভালাে নয়, কখন কি হয়ে যায় জানি না। তাই মেয়ের অ্যাকাউন্টের আমার গচ্ছিত অর্থ রেখে দিয়েছি। কিন্তু এখনকার দিনের মেয়ে হয়ে ও এতগুলাে টাকা এভাবে খােয়াবে ভাবতে পারিনি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.