“দিদি, ও দিদি"। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির যে কোনও জনসভায় এখন হামেশায় শােনা যায় এই সম্বােধন।
নিজের ভাষণের ফাঁকে ফাঁকে সুযােগ পেলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে এভাবে সম্বােধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
মােদির এই "দিদি, ও দিদি"-র স্বর বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের অভিযােগ, প্রধানমন্ত্রী -র এই সম্ভাষণের মধ্যে নারী বিদ্বেষ লুকিয়ে আছে। রাজ্যের শাসকদল বলছে, মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গাত্মক সুরেই ‘দিদি’ বলে ডাকছেন মােদি।
রবিবার তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে শশী পাঁজা, জুন মালিয়া, অনন্যা চক্রবর্তীরা অভিযােগ করলেন, প্রধানমন্ত্রীর আচরণ দুর্ভাগ্যজনক এবং নারী- বিদ্বেষী।
তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তােলা হয়, আজ আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেদের আসনকে সম্মান করছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী টোন কাটছেন টিটকিরি দিচ্ছেন। ওনার ভাষণেই স্পষ্ট উনি কতটা নারীবিদ্বেষী। দেখেছেন ঠিক কোন ভঙ্গিমায় জনসভাতে উনি ‘দিদি ও দিদি’ বলেন।
আপনি কি কারও সম্পর্কে একথা বলতে পারেন? এটা কি ঠিক? সর্বসমক্ষে কীভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কটুক্তি করছে। কেন একজন প্রধানমন্ত্রী এত নিচে নেমে যাবেন যে ওনাকে হেনস্তাকারী, মহিলাদের উত্যক্ত করার মতাে মানুষ ভাবা হবে?
শশী পাঁজাদের অভিযােগ, এটা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অপমান করা নয়। বাংলার সমস্ত মা-বােনেদের অপমান। মমতার নেতৃত্বে বাংলায় নারীশক্তির যে উত্থান হয়েছে, তার অপমান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ বছর ধরে সাংসদ। কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন, দশ বছরের মুখ্যমন্ত্রী। ওনার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই অভব্য অভিব্যক্তি আজ পর্যন্ত কোনও প্রধানমন্ত্রীর গলায় শােনা যায়নি।
এতেই বােঝা যায়, বিজেপি কতটা নিচুস্তরে নেমে গিয়েছে। শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, কদর্য অভিব্যক্তি দিয়ে বাংলার জননেত্রীকে অপমান করার খেলায় মেতে উঠেছেন তিনি। শাসক দলের দাবি, বাংলার মানুষ মমতার এই অপমানের জবাব ভােটবাক্সে দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.