মিনাখা: সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখা (Minakha) বিধানসভা কেন্দ্রে মোজাফফর বেগ নামের এক TMC নেতা এক দলিত বিজেপি মহিলা কর্মীর স্বামীকে হুমকি এবং অশ্লীল মন্তব্য করার ঘটনা সামনে এসেছে।
বিজেপি প্রার্থী ও সামাজিক সংগঠন সিংহ বাহিনীর সভাপতি দেবদত্ত মাঝি (Devdutta Majhi) দ্বারা টুইট করা একটি ভিডিওতে টিএমসি নেতা মুজাফফরের গুন্ডামির বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।
এই ভিডিওতে, হিন্দু দলিত বিজেপি কার্যকর্তা পিঙ্কি বাজের স্বামী বলেন টিএমসি নেতা মুজাফফর গ্রামে ফিরে আসার জন্য তার কাছে শর্ত রেখে বলে "তোমার স্ত্রী পিঙ্কিকে কয়েক দিনের জন্য আমার কাছে পাঠাও তবেই আমরা তোমাকে গ্রামে আসতে দেব।"
২ রা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দ্বারা ভোট পরবর্তী হিংসায় পিঙ্কি বাজ (এই অঞ্চলে বিজেপি মহিলা শাখার কোষাধ্যক্ষ), তার স্বামী সাধন বাজ এবং আরও বেশ কয়েকজন হিন্দুদের তাদের মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম থেকে পলায়ন করতে হয়েছিল।
বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝি যে জায়গাতে পিঙ্কি সহ আরও কিছু হিন্দু তাদের গ্রাম থেকে পালিয়ে যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে গিয়ে এই ভিডিওটি রেকর্ড করেন।
Words of Muzaffar (TMC Leader of Minakha):- Send Ur Wife Pinki to me for few days, then only we will allow you back in Village.
— Devdutta Maji (President of SinghaBahini) (@MajiDevDutta) May 25, 2021
Pinki Baj (BJP Mahila Morcha Treasurer), w/o Sadhan Baj (SC), Minakha Vidhansabha, North 24 Pgns.
After the Election Result they were tortured,.
1/2 ⏬ pic.twitter.com/EWB3cqq55N
টিএমসি কর্মীদের গুন্ডামির বিষয়ে পিঙ্কির স্বামী সাধন বলেছেন, "২ রা মে নির্বাচনের ফলাফল আসার পরে মুসলমানরা গ্রামে হিন্দু পরিবার গুলিতে হামলা করে।আমরা সকলেই আমাদের শরীরে কেবল পোশাক নিয়ে পালিয়ে এসেছি। পরে আমি যখন স্থানীয় (তৃণমূল কংগ্রেস) নেতা মুজাফফর বেগকে ফোন করি, তখন তিনি বলেন, "প্রথমে তোমার স্ত্রীকে আমার কাছে পাঠাও, তবেই তুমি আসতে পারবে।"
পিঙ্কির ভোটকেন্দ্রে প্রায় ৭৬৯ ভোটার রয়েছে, যার মধ্যে ৬৭ জন হিন্দু এবং বাকী মুসলমান। পিংকি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, "আমরা মোদীজিকে অনুরোধ করি মুসলমানদের দ্বারা আমাদের উপর যে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা থেকে আমরা হিন্দুদের রক্ষা করুন।"
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ২৬% মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই জেলা নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচনের পরে হিংসার দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এখানে বিজেপি কর্মী ও সৈকত ভবন, মনীষ শুক্লার মতো বিজেপি কার্যকর্তা এবং নেতাদের হত্যা হতে হয়েছে।
২ মে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর টিএমসি কর্মীরা কিভাবে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা ঘটিয়েছে তা কারও কাছ থেকে গোপন নেই।
টিএমসির নেতাদের দ্বারা বিজেপির একাধিক কর্মী হত্যার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় নারীদের যৌন হয়রানির বেশ কয়েকটি মামলা প্রকাশ্যে এসেছে। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে রাজনৈতিক হিংসার ফলে হাজার হাজার হিন্দুদের বাড়িঘর ছেড়ে আসামে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.