রাজ্যে ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবারই সরব হয়েছে বিরােধী পক্ষ।
এবার ভােট পরবর্তী হিংসার সুরাহা চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)-র দ্বারস্থ হলেন ৬০০-রও বেশি শিক্ষাবিদ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ও উপাচার্যরা ও।
গত ২ মে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় হিংসা-হানাহানি।বিজেপির তরফে বারবারই অভিযােগ জানানাে হয়, ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের দলের কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে।
তাদের কর্মীদের খুন করা হচ্ছে বলেও অভিযােগ তােলা হয় বিজেপির তরফে। তবে, বিরােধীদের সেই দাবি নস্যাৎ
করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যদিও এরপরও মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ অভিযােগ করেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর তাদের ৩৭ জন দলীয় কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৫ বছরে ১৬৬ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযােগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এছাড়া বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয় বলেও জানান দিলীপ ঘােষ।
মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ বিজেপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি একটি বৈঠকে এই অভিযােগ তােলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ (Dilip Ghosh) বলে জানা যায়। আর এবার ভােট পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন ৬০০-রও বেশি শিক্ষাবিদ।
জানা যায়, দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁরা লিখিত- ভাবে পশ্চিমবঙ্গে এবার ভােট পরবর্তী হিংসার তদন্ত চেয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট টিম গঠন করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা অভিযােগ জানিয়েছেন যে, বাঙালি সম্প্রদায় বর্তমানে ভয়ে ভয়ে বাস করছে।
সাম্প্রতিকতম বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভােট দিয়েছিলেন তাঁরা এর শিকার হচ্ছেন বলে আবেদনে জানানাে হয়। আবেদনে আরও বলা হয়, বাংলার শাসক দল সমর্থিত গুন্ডাদের হামলা বা হামলার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী অসম, ওডিশা ও ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গােটা ঘটনার তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতাে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপেরও দাবি জানানাে হয়েছে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে স্বতঃপ্রণােদিত- ভাবে নােটিস জারি করার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, এই ঘটনা তদন্তের জন্য সিট গঠনেরও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া, এই ধরনের হিংসার ঘটনা সংবিধানের মর্যাদা হানি ঘটায়। এগুলি একেবারই সহ্য করা উচিত নয় বলেও তাঁদের আবেদনে জানান শিক্ষাবিদরা বলে জানা গিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.