তিন বছর কোনও তথ্য না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া খাতের টাকা বন্ধ করল। বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তৃণমূলের - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

তিন বছর কোনও তথ্য না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া খাতের টাকা বন্ধ করল। বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তৃণমূলের

কয়েক বছর আগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছিল রাজ্য জুড়ে। বহু মানুষের মৃত্যুও হয় মশাবাহিত এই রােগে। বিশেষত বর্ষাকালে জমা জল থেকে জন্মানাে মশার কামড়ে অনেকেই আক্রান্ত হন।

central government stop giving money to west bengal , dengue and chikungunya

ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা বাড়লেও এখনও আক্রান্ত হন অনেকেই। তবে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া রােগ সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে পাঠানাে হয় না কেন্দ্রকে। এমনই অভিযােগ তুলে ওই খাতে বরাদ্দ টাকা বন্ধ করে দিল কেন্দ্র।


অভিযােগ, গত তিন বছর ধরে এই দুই রােগের কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন রাজ্যগুলির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাধারণত টাকা দিয়ে থাকে। শুধু ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নয়, আরও

অনেক রােগের জন্যও এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এ বার পশ্চিমবঙ্গের জন্য ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার খাতে কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। তথ্য না দেওয়ার জন্যই যে এই সিদ্ধান্ত, সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মিশনের তরফ থেকে।

গত তিন বছরে এই সব রােগে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কতজন আক্রান্ত হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাই বা কেমন, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই বলে দাবি কেন্দ্রের। ২০১৮ সাল থেকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।

এ ক্ষেত্রেও রাজ্যকে কোনঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযােগ জানিয়েছেন চিকিৎসক তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, যখন বিমাতৃসুলভ আচরণ করার চেষ্টা হচ্ছে, তখন এটা একটা বাহানা মাত্র। শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের পাওনা টাকা অনেক সময়ই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।

আমফানের টাকা দেওয়া হয়নি, অক্সিজেন প্লান্টের জন্য জমি চাইলে, তা দেওয়া হয়নি,অন্য রাজ্যে বেশি ভ্যাকসিন দিয়ে এ রাজ্যে কম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় নেতারা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া অবধি ভাবেন কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- কে কোণঠাসা করে দেওয়া যায়, বাংলার মানুষকে কী ভাবে হয়রাণ করে দেওয়া যায়।

রাজ্যের মানুষকে রােগগ্রস্ত করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অন্য দিকে এএইচএসবিডি (AHSBD)-র সম্পাদকের দাবি, রাজ্যের তথ্য দেওয়া উচিৎ ছিল।

তিনি জানান, এই দুটি রােগে ভয়ঙ্কর পরস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। পরিকাঠামাের অভাব নিয়ে অনেক সময় চিকিৎসকেরাও অভিযােগ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তথ্য পাঠানাে উচিৎ ছিল। এই তথ্য জানাতেই হয়। এটা রুটিন কাজ। তবে তথ্য না পাঠানাের অভিযােগে টাকা বন্ধ করে দেওয়াও উচিৎ নয়। সেটাও কাঙ্ক্ষিত নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad