পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তার প্রাক্তন সহকর্মী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-র কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না, তাই এখন তিনি হাইকোর্টে পৌঁছেছেন।
মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামের নির্বাচনের ফলাফলকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে প্রকাশিত ক্লজ লিস্ট অনুসারে বিচারপতি কৌশিক চন্দ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি শুনবেন।
গত বছর ডিসেম্বরে, টিএমসি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অল্প ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নন্দীগ্রাম আসনে পুনর্গণনের দাবি করে ভোট গণনায় বেশ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল, যা নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দিয়েছিল।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম আসন থেকে মমতা ব্যানার্জি কে ১৯৫৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।শুভেন্দু অধিকারী ১,১০,৭৬৪ ভোট পেয়েছেন এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা ব্যানার্জি পেয়েছেন ১,০৮,৮০৮ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, সিপিআইএম (CPIM) এর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৬২২৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন।
ভবানিপুর আসন থেকে লড়াই করা মমতা ব্যানার্জি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা করেছিলেন। এর পর বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করার ঘোষণা করে।
তিনি নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি এই আসন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতে না পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তার দাবি অনুযায়ী, জয় ছিনিয়ে আনা শুভেন্দু অধিকারিকে বিজেপি এবার বিধানসভায় বিরোধী নেতা করেছেন।
মে মাসে সম্পন্ন হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে, তৃনমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের মতো বাংলায় ক্ষমতায় আসে, অপরদিকে বিজেপি ৩ থেকে ৭৭ বিধায়ক নিয়ে প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.