পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য বেশ কয়েকজন মহিলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং তাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে এসআইটি (SIT) গঠনের দাবি করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে যেভাবে গোধরা কান্ডের তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এসআইটি গঠন করেছিল, সেইভাবে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা ও ধর্ষণের ঘটনা তদন্তের জন্য এসআইটি গঠন করা হোক।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সী এক মহিলা জানিয়েছেন যে কীভাবে টিএমসি (TMC) কর্মীরা ৪ মে এর রাতে জোর করে তার বাড়িতে ঢুকে তার নাতির সামনে তাকে ধর্ষণ করেছিল। শুধু তাই নয়, টিএমসি কর্মীদের ওপর বাড়ি লুট করার অভিযোগও করেছেন এই মহিলা।
এই ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। রিপোর্ট অনুযায়ী মহিলাটি বলেন যে টিএমসির প্রতিশোধ হিসাবে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টে তার আবেদনে এই মহিলা বলেছেন যে পুলিশের তরফ থেকে নিষ্ক্রিয়তার কারণে বাংলায় এই ঘটনাগুলি বেড়ে চলেছে।
এর আগে ১৮ ই মে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবীর বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ জারি করেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে দুই বিজেপি কর্মীকে হত্যার অভিযোগে এই আবেদন করা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে আর্জি দাখিল করা মহিলার মধ্যে একজন জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামী বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন। তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং টিএমসির লোকেরা তাকে দিনে দুপুরে কুড়াল দিয়ে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন অসহায় হয়ে নিজের স্বামীকে টিএমসি কর্মীদের হামলায় মরতে দেখেন। শুধু তাই নয়, হামলা- কারীরা পরে তাকে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে।
এ ছাড়া একটি ১৭ বছর বয়সী এক দলিত মহিলা শীর্ষ আদালতে জানায় যে তাকে ৯ মে টিএমসির লোকেরা ধর্ষণ করে এবং তাকে মরার জন্য জঙ্গলে ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, মহিলাটি দাবি করেছে যে পরদিন টিএমসি নেতারা তার বাড়িতে এসে হুমকি দেয়, যদি সে বিষয়টি পুলিশকে জানায় তবে তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেবে এবং তার পরিবারকে হত্যা করবে।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট গণনা শেষে দু'জন বিজেপি কার্যকর্তা অভিজিৎ সরকার ও হরেন অধিকারিকাকে হত্যার তদন্তে -র সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে। এই আবেদনের আগামীকাল ১৫ ই জুন শুনানি হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.