বারুইপুর: ‘সুন্দরবনকে রক্ষা করতে কোনও পরিকল্পনা নেয়নি রাজ্য সরকার।
নদীবাঁধ ভাঙার জন্য রাজ্য দায়ী সরকার। কারণ,মুখ্যমন্ত্রী কোনও স্থায়ী কাজ করেন না।২০১১ সালের পর থেকে সেচের উপর কোনও কাজ করেনি রাজ্য সরকার। আয়লার বাঁধ যেখানে যে অবস্থাতেই ছিল সেই অবস্থাতেই রয়েছে, এমনই বললেন রাজ্যের বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বারুইপুরের বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আসেন তিনি। গত ১৯ মে নরেন্দ্রপুরের খেয়াদহ-২ পঞ্চায়েত এলাকায় নিহত বিজেপি কর্মী নির্মল মণ্ডলের স্ত্রীর হাতে এদিন ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন তিনি। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করেছিল এমনই অভিযােগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘৫০০ টাকা হাত খরচা, ১ কেজি চাল, নীল-সাদা রঙ, হাঁড়ি কলসি, ভাঙা সাইকেল বিতরণে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকেন। রাজ্যের স্বার্থে স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা করেন না।
সাইক্লোন বা কোটাল এসে বাঁধ ভেঙে গেলে কিছু লােক বসানাে আছে, তারা তখন কিছু কাজ করে দেয়, আবার সেটা জলে তলিয়ে যায়। বাম আমলেও আয়লার কাজ হয়েছিল, সেখানেও দুর্নীতি হয়েছে।
শুভেন্দু আরও বলেন, ২০১১ সালের পর দুই মেদিনীপুরে সেচের একটাই কাজ হয়েছে,একটা বড় সেতু হয়েছে কেলেঘাই কপালেশ্বরি সেতু যাতে কেন্দ্র দিয়েছে ৭৫ ভাগ রাজ্য সরকার দিয়েছে ২৫ ভাগ টাকা। এর বাইরে কিছু হয়নি।
দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প নিয়েও ব্যঙ্গ করে এদিন বিরােধী দলনেতা বলেন, ‘দুয়ারে ত্ৰাণ প্রকল্পে দিতে যাচ্ছে আমফানের চোররা। কোথাও সরকারি আধিকারিক নেই, তৃণমূলের লােকজনই আছে দেখাশােনায়। বিজেপি পতাকা নিয়ে ত্রাণ দিতে যায় না, তৃণমূল সাদা-নীল টুপি পরে ত্রাণ দেয়। ভােট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে বহু মানুষ বাড়ি ছাড়া বলে অভিযােগ বিজেপির।
দলের জেলা কার্যালয়ে বাড়ি ছাড়া কর্মীদের জন্য থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখানে প্রায় শ'দুয়েক কর্মী রয়েছেন। সেই সব মানুষ জনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তাঁদের সমস্যার কথাও শােনেন।
আগামী দিনে তিনি গােসাবায় যাবেন বলে জানান। তবে এদিন বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েনি জোড়াফুল শিবির।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, বড়বড় কথা বলে কোনও লাভ নেই।আমফানের পর এত মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তার খবর উনি রাখেন! দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে সমালােচনা করার উনি কেউ নন।
ইয়াসের পর কেন্দ্র কিছুই করেনি। বাংলার মানুষ সব জানে। ওদের মতাে মিথ্যেবাদীদের কথার কোনও দাম নেই, তা মানুষই প্রমাণ করে দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.