শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহণ শুধু নয়, আর্থিক পরিস্থিতির হাত ধরে করােনা ভাইরাস বিচিত্র হামলা চালিয়েছে চার দেওয়ালের অন্দরেও। বদলে দিচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বুনন।
লকডাউনে অনেক কর্তা কাজ হারিয়েছেন, অনেকের মাইনে হয়ে গিয়েছে অর্ধেক। সে জন্য বহু ঘরে স্বামীদের কথায় কথায় খোঁটা দিচ্ছেন স্ত্রীরা, এমনকী বাক্স-প্যাটরা গুছিয়ে বাপের বাড়ি রওনা দিয়েছেন কেউ কেউ। ফেরত আনতে গেলে কর্তার কপালে জুটছে শ্বশুরবাড়ির অশেষ অপমান।
আকস্মিক কর্মহীন হয়ে গৃহকর্তাদের এহেন ‘লাঞ্ছনা’র বৃত্তান্ত সম্প্রতি শােনা গিয়েছে। সেভ ইন্ডিয়া ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন (Save India Family Foundation)-র কল রেকর্ডে। দেশজুড়ে নিপীড়িত পুরুষদের নিয়ে কাজ করছে Save India Family Foundation। তাদেরই কলকাতা চ্যাপটার হৃদয়া নেস্ট।
কেন্দ্রীয় স্তরে সংস্থার একটি হেল্পলাইন নাম্বার রয়েছে। সেই হেল্পলাইন নাম্বার ৮৮৮২৪৯৮৪ ৯৮ এ ফোন করে সাংসারিক যন্ত্রণার অভিযােগ করেন পুরুষরা।লকডাউনে এই হেল্পলাইনে বাংলা থেকে উপচে পড়ছে ভূরি ভূরি অভিযােগ।
সেভ ইন্ডিয়া ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের কলকাতার দায়িত্বে থাকা ডি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, বাংলা থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫ টা করে ফোন পাচ্ছি আমরা। গত এক মাসে এসেছে সাড়ে সাতশাে অভিযােগ।
লকডাউনে কেউ কাজ হারিয়েছেন, কারও মাইনে কমে গিয়েছে। বাড়ির লােক তা বুঝতে পারছে না। নিপীড়িত পুরুষরা জানাচ্ছেন স্ত্রী তাদের কথায় কথায় অপমান করছেন বলছেন, “মুরােদ নেই যখন বিয়ে করতে গিয়েছিলে কেন?"
লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ার ছবি চেনা। সেন্টার ফর
মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির সমীক্ষা বলছে, দেশে লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। বাংলায় এই সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.