ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক আলোচনার পর উভয় দেশই শান্তির পথে পা বাড়িয়েছে।
ভারতের (India) দৃঢ় মানসিকতার কাছে কিছুটা হলেও নতিস্বীকার করলো চিন (China)। দুই দেশই সামনের অঞ্চল থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। এর পাশাপাশি অস্থায়ী নির্মাণগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এখানে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আগের অবস্থা বহাল হয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে চীন প্যানগং হ্রদ (Pangong lake)-র উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।
গত বছর এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখের অনেক অঞ্চলে ভারত ও চীনের সৈন্যরা মুখোমুখি হয়েছিল এবং জুন মাসে সহিংস সংঘর্ষও হয়েছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় LAC-র এই এলাকা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং উভয় পক্ষই এটিকে সম্মান করবে। স্থিতাবস্থা একতরফাভাবে পরিবর্তন করা হবে না। এর সঙ্গে অন্য একটি স্পর্শকাতর এলাকায় সংঘর্ষের অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
উভয় পক্ষই সামরিক আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং পশ্চিমাঞ্চলের LAC-র অবশিষ্ট সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আইটিবিপি (ITBP) দেশের সার্বভৌমত্ব এবং এলএসি (LAC) -তে শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দুই দেশের মধ্যে দ্বাদশতম আলোচনা সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর সব সমস্যা আবার আলোচনার মাধ্যমে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার ঘোষণা করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S.Jaishankar) এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন পূর্ব লাদাখে অব্যাহত অচলাবস্থা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রীর মধ্যে ১৪ জুলাই তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশান্বেতে সাংহাই কোঅপারেশন কর্পোরেশন অরগানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রায় ১ ঘন্টা আলোচনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.