মালদা: কাটমানি না দেওয়াই মেলেনি সরকারি আবাস যােজনার ঘর।
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযােগ তুলে বিক্ষোভ জানালেন গ্রামবাসীরা। ওই উপভােক্তা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযােগ জানিয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ খন্ডন করেছেন মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল সদস্যা রুপসানা খাতুন। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। বিজেপি (BJP) এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।
মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলির অভিযােগ, বছর- খানেক আগে তার নাম আসে সরকারি আবাস যােজনার তালিকায়। সেই তালিকা নিয়ে তিনি পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে যােগাযােগ করেন।
অভিযােগ করা হয় সেই সময় ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন তার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা চায়। দিনমজুর বারেক সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর একাধিকবার পঞ্চায়েত দপ্তরে ঘােরাঘুরি করলেও টাকা পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার নামের সরকারি আবাস
যােজনার টাকা অন্য কারোর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এরপরই তিনি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন।
যদিও ওই পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযােগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন টাকা চাওয়ার যে অভিযােগ করা হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি যাতে ঘরের টাকা পান সেই কারণে তিনি পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিসের বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। চাঁচল ১নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, কারাে বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযােগ উঠলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে, দল পাশে থাকবে না।
ঘটনাকে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপি সভাপতি গােবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের কাটমানি নেওয়াটা ওদের মজ্জাগত ব্যাপার। মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের BDO সমীরণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অভিযােগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.