ভাঙড়: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা।
![]() |
সাবেরা বিবি |
অভিযােগ, ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার গৃহবধূ সাবেরা বিবিকে এই প্রকল্পে টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আট হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এক অপরিচিত যুবক।
সাবেরা বিবির অভিযােগ, এক অপরিচিত যুবক তাঁকে ফোন করে বলে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকে তিনি নাকি এককালীন ১৬ হাজার টাকা পাবেন এবং সেই টাকা এখনই পাঠানাে হবে। তবে নগদে নয়, মােবাইলে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে। সেসব কিছুই ছিল না সাবেরার মােবাইলে। সে কথা তিনি জানান। তখন ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, কাউকে কিছু না জানিয়ে কাছাকাছি কোনও মােবাইলের দোকানে যেন এখনই চলে যান সাবেরা। তাঁকে বলতে বলা হয়, ছেলে বাইরে থাকে কথা বলতে চায়।
সাবেরা কিছু না বুঝে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডের একটি মােবাইল রিচার্জের দোকানে যান। দোকানদার কুতুবউদ্দিনের কাছে গিয়ে শেখানাে বুলি আউড়ে ফোন ধরিয়ে দেন। ফোনের অপর প্রান্তের যুবক দোকনদারকে বলে, আমি বাইরে এসে বিপদে পড়েছি। তাই মা আমাকে আট হাজার টাকা পাঠাতে চান। আপনি ওই টাকা আমার এই নম্বরে পাঠিয়ে দিন। মা আপনাকে নগদ দিয়ে দেবেন।'
কুতুবউদ্দিন আট হাজার অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন এবং সাবেরা বিবির কাছে টাকা চান। সাবেরা আকাশ থেকে পড়েন। সাবেরা বলেন, “আমি আপনাকে কেন টাকা দেব? আমার ছেলে ১৬ হাজার টাকা পাঠিয়েছে সেটা দিন।" এরপর ওই দোকনাদার বাধ্য হয়ে কাশীপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে প্রতারণার দায়ে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করতে চাইলে সাবেরার স্বামী বাড়ির একটি দামি স্মার্ট ফোন বিক্রি করে দোকানদারকে টাকা ফেরত দেন।
কাশীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাবেরা বিবি বলেন, এ ভাবে ঠকব বুঝতে পারিনি। মাসে মাসে পাঁচশাের পরিবর্তে কেন একসঙ্গে ১৬ হাজার টাকার লােভ করতে গিয়েছিলাম কে জানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.