অবৈধভাবে নদীর দখল নিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মাছ চাষে বঞ্চিত বহু মৎস্যজীবী। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অবৈধভাবে নদীর দখল নিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মাছ চাষে বঞ্চিত বহু মৎস্যজীবী।

মালদা: প্রায় ৫০০ মাছ চাষির পরিবারকে সম্পূর্ণ রােজগার -হীন করে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে নদীর দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।

মাছ চাষিদের নদীর দখল নিল tmc নেতা কর্মীরা

মাছ চাষিরাই বঞ্চিত মাছ চাষ থেকে। অথচ মাছ চাষিদের ওই নদীতে মাছ চাষ করার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এমনকী, গােলমাল হওয়ায় সেখানে ১৪৪ ধারাও রয়েছে।


চাষিরা একে একে সেখানে মাছ ধরেন। কিন্তু লাঠি, বল্লম নিয়ে হাজির তৃনমূলের গুন্ডা। অভিযোগ নদীর ধার দিয়ে বাঁধ বরাবর তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জাল দিয়ে ঘিরে সেখানে মাছ ধরা শুরু করেছে তৃণমূলের একদল কর্মী সমর্থক।

পরােয়া নেই সরকারি নির্দেশের, পরােয়া নেই ১৪৪ ধারার। দিব্যি নদী দখল করে মাছ চাষ করে ব্যবসা শুরু করেছে। নদীর ধারে কাছে যেতে পারছে না এলাকার প্রায় ৫০০ মাছ চাষি। তাঁদের রােজগার সম্পূর্ণ বন্ধ। গত একমাস ধরে এভাবেই চলছে। বিডিও (BDO) বা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযােগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। কেউ দেখতেও আসেনি তাঁদের।

বুধবার এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক মৎস্যজীবী।
ঘটনাটি মালদার চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ ব্লকের ভালুকা বাজার এলাকায়।

ফুলহার নদীর একটা অংশ বাঁধের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এই এলাকার ৫০০ মাছ চাষি এই নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালান। বাঁধ লাগােয়া নদীর এই অংশে প্রচুর মাছ থাকে। আর তা নিয়েই এই অংশ দখল করে মাছ। চাষের উদ্যোগ নেয় বহু প্রভাবশালীরা। বহুবার এই নিয়ে গােলমাল, সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর বহু বছর আগে এলাকার প্রায় ৫০০ মাছ চাষির পরিবারকে ওই এলাকায় মাছ চাষ করার অধিকার দিয়ে চিঠি দেয় প্রশাসন।

পাশাপাশি ওই এলাকায় একে একে সুশৃঙ্খলভাবে মাছ ধরার জন্যে ১৪৪ ধারা করে দেওয়া হয়। যাতে ভিড় করে গােলমাল বাঁধাতে কেউ না পারে কিন্তু এখন এসবের কোনও পরােয়া না করে, এলাকার দখল নিয়েছে তৃণমূলের একাংশ নেতারা বলে অভিযােগ। এখন মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত মাছ চাষিরাই।

এদিকে যারা দখল নিয়েছে তারা দাপটের সঙ্গে বলেছে তারা তৃণমূল (TMC) করে। তাই পতাকা লাগিয়ে ঘিরে নিয়ে দখল নিয়েছে নদীর। আর এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP), এসব আসলে গৃহযুদ্ধের সূচনা, অভিযােগ বিজেপির জেলা সভাপতি গােবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলের

অন্যদিকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ তৃণমূল ব্লক সভাপতি হজরত আলি। তবে তাঁর কথায়, একদল মানুষ তৃণমূল পরিচয় দিয়ে দলের বদনাম করছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতাের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad