ভারত পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলের পর উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ছাত্ররা কাশ্মীরি ছাত্রদের বেধরক মারধর করে। পাকিস্তান ম্যাচ জেতার পর কাশ্মীরী ছাত্ররা লাগিয়েছিল আজাদির শ্লোগান। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

ভারত পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলের পর উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ছাত্ররা কাশ্মীরি ছাত্রদের বেধরক মারধর করে। পাকিস্তান ম্যাচ জেতার পর কাশ্মীরী ছাত্ররা লাগিয়েছিল আজাদির শ্লোগান।

পাঞ্জাব : ২৪ অক্টোবর T-20 বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরে, পাঞ্জাবের সাংরুরে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

Kashmiri students attacked in punjab institute

সেখানে ইউপি বিহারের ছাত্ররা ভাই গুরুদাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি Bhai Gurdas Institute of Engineering and Technology তে কয়েকজন কাশ্মীরি ছাত্রকে বেধরোক মারধর করে বলে অভিযোগ। 


সবাই বলে এই কাশ্মীরি ছাত্ররা পাকিস্তানের বিজয় উদযাপন করছিল এবং তারা আজাদির শ্লোগান দিচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে কীভাবে ঘরের ভেতরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।


কাশ্মীরিদের দাবি, এটি বিহার ও উত্তর প্রদেশের ছাত্ররা করেছে। তাদের অভিযোগ তারা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছে, তাদের সাথে এমন আচরণ কেন? তারা কি ভারতীয় নয়? অদ্ভুত ব্যাপার হল যেখানে কাশ্মীরি ছাত্ররা এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখার সময় এই ধরনের প্রশ্ন করছে। একই সঙ্গে পুলিশ আরও জানায়, পাকিস্তানের জিতের পর কাশ্মীরি -রা তাদের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে সাংরুরের এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “কলেজে প্রায় ৯০ জন কাশ্মীরি ছাত্র এবং ইউপি ও বিহারের প্রায় ৩০ জন ছাত্র রয়েছে। 

কাশ্মীরি ছাত্ররা হোস্টেলের ২ টি শাখায় থাকে। যখন ম্যাচ চলছিল এবং পাকিস্তান রান করছিল, তখন তারা সবাই আনন্দে নাচতে শুরু করে এবং আজাদীর স্লোগান দিতে থাকে।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, ইউপি এবং বিহারের ছাত্ররা কাশ্মীরি ছাত্রদের রুমের ভিতরে যায় এবং তাদের সঙ্গে মারপিট করে। পরে, কাশ্মীরি ছাত্র এবং ইউপি এবং বিহারের ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যা পরে পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ শান্ত করে।"

জম্মু ও কাশ্মীর ছাত্র সংঘের জাতীয় মুখপাত্র নাসির খুহমি বলেন, “আমি ভাই গুরুদাস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে অনেকের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলে যে বিহারের ছাত্ররা তাকে মারধর করে, ঘর ভাঙচুর করে, হল ক্ষতিগ্রস্ত করে, এমনকি অন্য কয়েকজনকে গালিগালাজ ও মারধর করে।” খুহমি দাবি করেছেন যে পাঞ্জাব পুলিশ কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।

একই সময়ে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, সাংরুর এসএসপি স্বপন শর্মা জানিয়েছেন পারস্পরিক সংঘর্ষের পরে, উভয় পক্ষই পুলিশের সামনে ক্ষমা চেয়েছে এবং বিষয়টি মিটে গেছে। সাংরুর ডিএসপি জিতেন্দ্র সিংহ আরও জানান, গতকাল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, কিন্তু এখন বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad