প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নিয়মে বড় পরিবর্তন! পাল্টে গেল নিয়ম। ঘােষণা কেন্দ্রের। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নিয়মে বড় পরিবর্তন! পাল্টে গেল নিয়ম। ঘােষণা কেন্দ্রের।

উৎসবের মরশুমে শিক্ষক নিয়ােগ সংক্রান্ত নিয়মাবলি পরিবর্তন ঘােষণা করল কেন্দ্র।

Ncte changed rule for recruitment of primary teacher

কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা সংশােধনী গেজেট নােটিফিকেশন প্রকাশ করে তা জানিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন অর্থাৎ এনসিটিই (NCTE) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএলএড(D.el.ed) কোর্সের সঙ্গেই উচ্চ পর্যায়ের কোর্স দু’টিকেও স্বীকৃতি দিল এই নির্দেশিকার মাধ্যমে।


আগে স্নাতক স্তর উত্তীর্ণ হলেও ডিএলএড কোর্স করলেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ানাের পরীক্ষায় বসার যােগ্যতা পাওয়া যেত। কিন্তু এবারের বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ডিগ্রিতে ৫০% নম্বর সহ বিএড (B.ed) ডিগ্রি হলেই প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড-এম.এড প্রশিক্ষণ থাকলেও ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষণ নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারা যাবে। তবে এক্ষেত্রে, শিক্ষক হিসেবে যােগদানকারীদের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার উপর ছ'মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে।

শিক্ষক হিসাবে যােগ দেওয়ার দুই বছরের মধ্যে এই কোর্স শেষ করতে হবে। সেখানে শিক্ষক নিয়ােগে যােগ্যতা সংশােধনের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ডিএলএড কোর্স না করলেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগের পরীক্ষায় বসা যাবে।

উল্লেখ্য, আগে এই নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে দু’বার সংশােধনী
প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। ২০১৮-র বিজ্ঞপ্তির সংশােধনীতে বলা হয়েছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আগের যােগ্যতামান ছাড়াও কেউ যদি স্নাতক স্তরে ন্যূনতম ৫০% নম্বর পান ও বিএড ডিগ্রিধারী হন তাহলে তিনিও এই স্তরের শিক্ষকতার পরীক্ষায় যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন, কিন্তু তাকে চাকরি পাবার দু’বছরের মধ্যে ছয় মাসের এলিমেন্টারি এডুকেশনে ব্রিজ কোর্স করে নিতে হবে। এরপর ২০১৯-এর সংশােধনীতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির জন্য বলা হয়, ন্যূনতম স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বরের সঙ্গে বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে।

২০২১-এর সাম্প্রতিক সংশােধনীতে এসে বদল করে বলা হল, স্নাতকোত্তরে নূন্যতম ৫৫% নম্বর ও তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড- এমএড কোর্স করা থাকলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং নবম- দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এডুকেশন বা শারীরশিক্ষার শিক্ষক হিসেবে যােগ্যতামান অর্জন করতে পারবেন।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষামহল। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন,“ আরও বেশি সংখ্যক প্রার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষক
নিয়ােগের পরীক্ষায় বসবার সুযােগ মিলবে।”


অল পােস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসােসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেছেন, “সিদ্ধান্ত স্বাগত। তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড- এমএড কোর্সের জন্য সারা দেশে পরিকাঠামা বৃদ্ধি করতে হবে।”

চাকরিপ্রার্থী সংগঠনের পক্ষে সুশান্ত ঘােষ জানান, “এনসিটিই -র নিয়ম সংশােধনে বেশ কিছু সংশয় রয়েছে। সেই তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড- এমএড কোর্স এখনও বাংলা-সহ অনেক রাজ্যে চালু হয়নি। নিয়ম মেনে প্রতি বছর টেট পরীক্ষা ও নিয়ােগ হলে প্রার্থীরা বেশি উপকৃত হবেন।”

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন প্রাথমিকে ইতিমধ্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী বহু শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

সমিতি দীর্ঘদিন তাদের স্বীকৃতির দাবি করলেও তা এখনও পূরণ হয়নি। এমনকী, সেই সমস্ত শিক্ষকরা শিক্ষাগত যােগ্যতা অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad