গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের জামিন আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
গত আগস্টে জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এনামুল হক। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির পর এনামুলের আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
২০১৮ সালে গরু পাচার কাণ্ডে এনামুলকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তিনি ছাড়া পেয়ে যান। এরপর ২০২০-র নভেম্বরে পুনরায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারির পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই (CBI)। এনামুল হককে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় তারা। আদালত সেই আবেদনে সম্মতিও দেয়।
ইতিমধ্যে গরু পাচারে যুক্ত থাকার অভিযােগে বিএসএফ (BSF) আধিকারিক সতীশ কুমারকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে অবশ্য শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
এরপর এনামুলের আইনজীবীর তরফে বলা হয়, গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অন্য অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হলেও তাঁকে জেলে আটকে রাখা হচ্ছে। যদিও এদিন তাঁর সেই যুক্তি খারিজ করে আবেদনটি নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, গােরুপাচার-কাণ্ডে সতীশ ও এনামুলকে মুখােমুখি বসিয়ে জেরা করার কথাও ছিল তদন্তকারীদের।
গোরু পাচার চক্রে উঠে আসা তথ্য দেখে যথারীতি বিস্মিত হয়েছিলেন তদন্তকারী সিবিআই অফিসাররা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, গরু পাচারের টাকায় এক দিকে যেমন সতীশ কুমারের মতাে BSF জওয়ান বিপুল লাভ করেছেন, তেমনই এনামুলের মতাে গোরু পাচারকারীরা কয়েকশাে কোটি টাকার লেনদেন করেছে।
এনামুলের কলকাতার কয়েকটি ঠিকানা, আস্তানা এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। CBI-এর দাবি, এনামুল গােরু পাচারের পাশাপাশি রাইস মিল, আবাসন ও নির্মাণ শিল্প, পাথর খাদান,বালির কারবারসহ একাধিক বেআইনি কারবারের সাথে যুক্ত ছিল। তাঁর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০০ কোটির বেশি টাকার হদিস পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গােয়েন্দারা। এছাড়াও নামে-বেনামে বহু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.