হুগলি: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়ােগের দাবিতে এবার ডিভিশনাল কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান করল প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা।
সােমবার রীতিমতাে পরিযায়ী শ্রমিকের বেশে স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত চাকরির প্রার্থীরা। চাকরি না পাওয়া কয়েকশাে প্রার্থী হতাশায় জীবন কাটাচ্ছেন।
এদিন আন্দোলনের শিরােনাম ছিল'মুখমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির এক বছর'। প্রার্থীদের বক্তব্য সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও তাঁরা চাকরি পাননি। তাঁদের দাবি, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্ন থেকে ঘােষণা করেছিলেন ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিন্তু চাকরি না পাওয়া ২০ হাজার প্রার্থীকে ধাপে ধাপে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু এক বছর হতে চললেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
এর মধ্যে একাধিকবার সারা রাজ্যজুড়ে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে জেলাশাসক দফতরে প্রার্থীরা তাঁদের দাবি জানিয়েছেন, কিন্তু তাদের অভিযােগ, আজ অবধি তাঁরা চাকরি পাননি। তাই এবারে রাজ্যের ৫ টি বিভাগের আধি-কারিককে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেইমতাে চুঁচুড়ায় বর্ধমান বিভাগের কমিশনারের দফতরে তাঁরা স্মারকলিপি প্রদান করতে আসেন।
এদিন চুঁচুড়া লঞ্চঘাট থেকে কেউ ঝাড়ু হাতে, কেউ বস্তা মাথায় দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক সেজে অভিনব মিছিলে সামিল হয়। মিছিল বর্ধমান ডিভিশনাল কমিশনারের দপ্তরের সামনে এসে উপস্থিত হয়। সেখানে বসে পরে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পরে প্রার্থীদের মধ্য থেকে এক প্রতিনিধি দল কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এই বিষয়ে এক চাকরি প্রার্থী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি -র এক বছর পূর্ণ হয়ে গেলেও, এখনও কেউ চাকরি পায়নি। এই জন্য ডিভিশনাল কমিশনারকে চাকরির দাবিতে ডেপুটেশন জমা দিলাম। যদি দাবি পূরণ না হয় তাহলে কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
সবমিলিয়ে এখন দেখার রাজ্য সরকার এই বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কথা ভেবে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.