মালদা: এক বৃদ্ধা মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে কৌশলে আবাস যােজনার প্রথম কিস্তির ষাট হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযােগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই বৃদ্ধ মহিলা নিজের প্রাপ্য টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে চাঁচল থানায় এবং বিডিও (BDO)-কে অভিযােগ জানিয়েছেন
ঘটনাটি চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া এলাকায়। ওই বৃদ্ধা মহিলার নাম ফাতেমা বিবি। দীর্ঘদিন আগে তাঁর স্বামী প্রয়াত হয়েছেন, তিনি তাঁর বাড়িতে একাই থাকেন। বাঁশের বেড়া ও টিনের ঘরেই দিন কাটে ওই বৃদ্ধার। মাথার ওপর পাকা ছাদ পাওয়ার আশায় বহু বছর ধরে আবেদন করে আসছিলেন ঘরের জন্য। অবশেষে তার নামও আসে বলে ওই বৃদ্ধা দাবি করেন।
বৃদ্ধার অ্যাকাউন্টে ঢােকে প্রথম কিস্তির ষাট হাজার টাকা। আর সেই সুযােগে তাঁর টাকা হাতিয়ে নেয় গ্রামের দাপুটে এক তৃণমূল নেতা বলে অভিযােগ। সেই টাকা বৃদ্ধার নয়, ভুল বুঝিয়ে ব্যাংকের শাখায় নিয়ে গিয়ে টিপ ছাপ নিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযােগ। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসার সময় ওই তৃণমূল নেতাকেই টাকা তুলে দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা ও তার স্ত্রী ভুল বােঝাচ্ছে বলে অভিযােগ।
গােটা ঘটনা নিয়ে মল্লিকপাড়া গ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা সাহাজান আলির বিরুদ্ধে চাঁচল-১ নং ব্লক অফিসে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বিধবা বৃদ্ধা ফাতেমা বেওয়া।
ফাতেমা বেওয়ার অভিযােগ, আমার ঘরের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। ওই টাকা আমার। ভুল বুঝিয়ে গ্রামের তৃণমূল নেতা সাহাজান আলি ও তার স্ত্রী রীনা খাতুন আমাকে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে টিপছাপ নিয়ে সেই টাকা তুলে নেই। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ভুল বােঝায় ও হুমকি দেয়।
যদিও ওই তৃণমূল নেতা সাহাজান আলি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযােগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তিনি বলেছেন, এটা বিরােধীদের চক্রান্ত। চাঁচলের মহকুমা কল্লোল রায় জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।অভিযােগ প্রমাণ হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.