দিল্লি : রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বাংলায় যখন চর্চা তুঙ্গে, সেই সময় ফের শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের মতো এক ঘটনার খবর পাওয়া গেল দিল্লি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে এক মহিলার কাটা দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব দিল্লির গীতা কলোনি ফ্লাইওভারের কাছে একটা বড় এলাকা জুড়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। মাথাসহ নিহতের শরীরের বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহটির অন্যান্য অংশও আশপাশের এলাকাতেই পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। সেগুলি উদ্ধারের জন্য ফ্লাইওভারের কাছের জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের একটি দল।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সোয়া ৯ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই দেহাংশগুলি পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে হতবাক হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় উচ্চপদস্থ কর্তাদের। ডাকা হয় ফরেন্সিক বিশেজ্ঞদেরও।
প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশের অনুমান নিহত মহিলা বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ফরেন্সিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই সঠিকভাবে বয়স বলা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
দিল্লি পুলিশের সেন্ট্রাল রেঞ্জের জয়েন্ট কমিশনার পরমাদিত্য জানিয়েছেন, দুটি কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে দেহাংশগুলি রাখা ছিল। একটি ব্যাগে ছিল মাথাটি, অন্য ব্যাগে বাকি অংশগুলি। লম্বা চুল দেখে অনুমান করা হচ্ছে দেহটি কোনও মহিলার।
কোতোয়ালি থানায় এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের সাদৃশ্য পেয়েছেন। শ্রদ্ধা ওয়াকার ছিলেন এক কল সেন্টার কর্মচারী। গত বছর, ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হত্যা করেছিল তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। হত্যার পর, তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলেছিল আফতাব। এরপর টুকরো করা দেহাংশগুলো সে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। পরের ১৮ দিন ধরে বাড়ির কাছের এক জঙ্গলে দেহাংশগুলি ফেলে দিয়েছিল সে। এরপরও শ্রদ্ধার শরীরের কিছু অংশ সে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। দেহাংশগুলির পরিচয় গোপন রাখার জন্য শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল সে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.