অনেকেই বক্সিং কথাটি শুনে ভাবতে পারেন ঘুসি মারামারির ম্যাচ। নামের সঙ্গে মিল থাকলেও বক্সিং ডে টেস্টের সঙ্গে এই খেলার দূরদূরান্ত কোন সম্পর্ক নেই। বরং আছে মহতী উদ্যোগ। আসলে বড়দিনের পরের দিন থেকে শুরু হওয়া ম্যাচ গুলোকে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ বলা হয়। এছাড়া বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেট বিশ্বে বিশেষ জায়গা পায়।
উল্লেখ্য, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বাক্সে করে এদিন গরিব ।দুঃখীদের মধ্যে বিভিন্ন উপহার বিতরণ করে থাকেন। কখনও আবার প্রার্থনার শেষে চার্চের বাইরে রাখা বাক্সে দান বা অনুদান সংগ্রহ করা হয় গরিবদের মধ্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে। এই কারণেই ২৬ ডিসেম্বর দিনটা বক্সিং ডে।
যদিও এই নিয়ে বেশ কয়েকটি মতামত আছে। অক্সফোর্ডের ইংরেজি অভিধান অনুসারে এই দিনটার সঙ্গে ১৮৩০ সালের ব্রিটেনের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেইসময় ব্রিটেনে ক্রিসমাসের পরের দিনটাই সপ্তাহের প্রথম দিন হিসেবে ধরা হত। তাই এটাকে বক্সিং ডে বলা হয়ে থাকে। আবার এই একই দিনের পৃথক ধর্মীয় গুরুত্ব আছে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ডে সেখানে সেন্ট স্টিফেন্স ডে হিসাবে পালিত হয় ২৬ ডিসেম্বর।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে টেস্ট ম্যাচ কেন আয়োজন করা হয়? শোনা যায়, ২৬ ডিসেম্বর যেহেতু সকলের ছুটি থাকত, তাই মাঠেও বেশি দর্শক খেলা দেখার জন্য হাজির হতেন। আর সেইসঙ্গে টিকিটের বিক্রিও হত আকাশছোঁয়া। আর বাকি হিসেবটা তো আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.