মঙ্গলবার আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, এই মামলায়
তদন্তকারী সংস্থা ইডি পর্যাপ্ত প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পেরেছে, তাই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে বেআইনি বলা যাবে না। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কেজরিওয়াল। দেশে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা অবস্থায় কেউ গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও কেজরিওয়ালের পাশাপাশি আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
অন্যদিকে ইডি র দাবি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নতুন আবগারি নীতি তৈরি করে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে আপ প্রার্থীদের সেই ঘুষের টাকা থেকে মোটা অঙ্ক দেওয়া হয়েছিল ভোটে খরচ করার জন্য। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ আদালতে পেশ করেছে ইডি। সেই সূত্রেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনে করছেন, এই গ্রেফতারিকে অবৈধ বলা যাবে না।
গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। ইডির দাবি, আবগারি দুর্নীতি মামলায় 'কিং পিন' হচ্ছেন খোদ কেজরিওয়াল।ইডি হেফাজতের পর আদালতের নির্দেশে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন তিনি।
এদিন কেজরিওয়ালের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, 'কেউ অপরাধ করলে তাঁকে গরাদের ওপারে যেতেই হবে। কিন্তু কেউ মুখ্যমন্ত্রী বলে কি তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না? কেউ দেশকে লুট করে যাবেন, তবুও তাঁকে স্পর্শ করা যাবে না ভোট আসছে বলে?” তার ভিত্তিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কেজরিওয়াল যে আবেদন করেছেন, তা একেবারেই জোরালো নয়।
আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং আবগারি দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হওয়ার পর গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন। তাই মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের আবেদনে সাড়া দেয় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল ছিল রাজনৈতিক মহলের।
কেজরিওয়াল জামিন পেলে লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে নিঃসন্দেহে সুবিধা পেত আপ। কিন্তু এদিন ধাক্কা খেলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন
কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়াল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.