বিশেষ করে শুক্রবার জলপাইগুড়ির এবিপিসি ময়দানে যেসময় মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করছেন, সেই সময় ওই ময়দানের পাশের ওয়ার্ডেই জল ও রাস্তার দাবিতে এই ভোট বয়কটের ডাক দেন সাধারণ মানুষ। যাকে কেন্দ্র করে চাপান-উতোর দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতা শ্যামপ্রসাদ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ির মালবাজারে জনসভা করে রাজ্যের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। একই ভাবে এদিনও জলপাইগুড়িতে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন তিনি। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চের পাশের এলাকায় সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয়দের কথায়, এখানে উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও পৌঁছয়নি। বারংবার কাউন্সিলরকে বলেও কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, সকালে জলের জন্য লাইনে দাঁড়ালে বিকেলেও বালতি ভর্তি হয় না। খুব ধীরে সুতোর মতো জল পড়ে নল দিয়ে। আর এই সমস্যা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে। একই সঙ্গে রাস্তাও বেহাল। তাঁদের অভিযোগ, প্রত্যেকবার ভোটের সময় নেতা-নেত্রীরা হাতজোড় করে ভোট চান কিন্তু ভোটের।পর খোঁজ নেন না।
মূলত, পানীয়জল এবং রাস্তা সংস্কারের দাবিতেই এদিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ এদিকে জল ও রাস্তার সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর পৌষালি দাস বলেন, এই বিষয়ে বারংবার পুরসভায় জানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
একই বক্তব্য, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পালেরও। তিনি জানান, 'জলের রিজার্ভারের কাজ চলছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার কাজও হচ্ছে। ভোটের পর যা সমস্যা আছে।সমাধান করা হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.