হুমায়ুন কবির ভরতপুর বিধানসভা আসনের বিধায়ক। ভরতপুর মুর্শিদাবাদ জেলায় পড়ে। সম্প্রতি, তিনি বহরমপুর থেকে TMC প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচারও করছিলেন। এছাড়া দলের একাধিক প্রার্থীর প্রচারে অংশ নেন তিনি। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে।
West Bengal: Viral video of TMC MLA from Bharatpur, Humayun Kabir, openly threatening Hindus, reminds them of the 30:70 demographics of Murshidabad in favour of muslims and challenges that He can throw hindus into Ganga within 2 hours pic.twitter.com/Rawt7HVxPe
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) May 2, 2024
এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, "তোমরা (হিন্দু) ৩০ শতাংশ, আমরা (মুসলিম) ৭০ শতাংশ। এখানে তোমরা কাজীপাড়া-র মসজিদ ভেঙ্গে ফেলবে আর বাকি মুসলিমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, এটা কখনই হবে না। আমি বিজেপিকে বলতে চাই এটা কখনই হবে না। যদি ২ ঘণ্টার মধ্যে তোমাদের ভাগীরথী নদীতে ফেলে দিতে না পারি তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।"
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাশীন শাসক দল TMC ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে প্রার্থী করেছে। এরপর হুমায়ুন কবির জানিয়েছিলেন, দল যদি প্রার্থী বদল না করে, তাহলে তিনি বহরমপুরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। তিনি বলেন অন্য রাজ্য থেকে কাউকে এনে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারানো যাবে না।
আরোও পড়ুন : মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গায় শিব ভক্তদের উপর হামলা। মন্দির ভাঙচুর ও মন্দিরের ভিতরে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় মুসলিমদের ওপর
মুর্শিদাবাদ জেলা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ মুসলিম। এখানকার অধিকাংশ মানুষ বিড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদ একসময় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানকার হাজারদুয়ারি প্রাসাদ তার গৌরবময় অতীতের একটি নিদর্শন, তবুও অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়।
এই নিয়ে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া (Amit Malviya) মমতা সরকারকে আক্রমণ করেছেন । শক্তিপুরে বুথ কর্মী সম্মেলনে হুমায়ূন কবিরের মন্তব্যের বিষয়ে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেন, “মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এখানে হিন্দুরা মাত্র ২৮ শতাংশ। ভাবুন তো, বাকি বাংলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলে কী হবে।”
প্রসঙ্গত এর আগে শক্তিপুরে রামনবমীর দিনও মিছিল ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছিল। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল।
মুর্শিদাবাদ জেলা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ মুসলিম। এখানকার অধিকাংশ মানুষ বিড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদ একসময় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানকার হাজারদুয়ারি প্রাসাদ তার গৌরবময় অতীতের একটি নিদর্শন, তবুও অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়।
এই নিয়ে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া (Amit Malviya) মমতা সরকারকে আক্রমণ করেছেন । শক্তিপুরে বুথ কর্মী সম্মেলনে হুমায়ূন কবিরের মন্তব্যের বিষয়ে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেন, “মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এখানে হিন্দুরা মাত্র ২৮ শতাংশ। ভাবুন তো, বাকি বাংলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলে কী হবে।”
At the booth workers sammelan at Shaktipur, TMC’s Bharatpur MLA Humayun Kabir said:
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) May 2, 2024
Quote
If I can't throw BJP into the Bhagirathi river within 2 hours, will leave politics. I will not let you guys stay in the Shaktipur (most Hindus in this area are refugees, who fled from… pic.twitter.com/EMRTFMg26T
প্রসঙ্গত এর আগে শক্তিপুরে রামনবমীর দিনও মিছিল ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছিল। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল।
আরোও পড়ুন : Ram Navami Murshidabad মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে রাম নবমী মিছিলকে লক্ষ্য করে ছাদ থেকে পাথর, বোমা নিক্ষেপ, আহত অনেকেই! ভিডিওতে দেখুন
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তুষ্টিকরণের রাজনীতি নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে ধন্যবাদ। বাংলার হিন্দুদের এখন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের চেয়েও খারাপ অবস্থা। তিনি কি এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস করবেন? যে বুদ্ধিজীবীরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিষ ছড়ায়, তারা কি এ বিষয়ে একটি বাক্য খরচ করার সাহস রাখে?
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তুষ্টিকরণের রাজনীতি নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে ধন্যবাদ। বাংলার হিন্দুদের এখন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের চেয়েও খারাপ অবস্থা। তিনি কি এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস করবেন? যে বুদ্ধিজীবীরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিষ ছড়ায়, তারা কি এ বিষয়ে একটি বাক্য খরচ করার সাহস রাখে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.