দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর নতুন করে শিল্প গড়ে তোলায় বক্তব্য আর যেই হােক, অন্তত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্লেস এর মুখে মানায় না।
সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো অত সহজ নয়, এত বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা পশ্চিমবঙ্গে কটি নতুন শিল্প নিয়ে এনেছে, আগে সেই লিস্ট দেখাক জনগণকে।
পশ্চিমবঙ্গে এইদিন নতুন শিল্প গড়ে তোলার সকল রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার নতুন শিল্প গড়ে তােলার ভাওতাবাজি জনগণ খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শিল্প গড়ে তােলার নয়, শিল্প তুলে দেওয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছেন, যার কারণে আজ বাংলার বিপুল সংখ্যক জনগণকে কর্মসংস্থানের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে।
সােমবার উত্তর দমদম পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়নপুর মােষ পুকুর এলাকায় আয়ােজিত চা চক্রের আসরে যােগদান করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুরে নতুন করে শিল্প গড়ে তােলার বক্তব্য প্রসঙ্গে কার্যত এভাবেই ব্যঙ্গাত্মক সুরে তার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ।
পাশাপাশি তিনি আরোও জানান রাজ্যে নতুন শিল্প নিয়ে আসা তো দূরের কথা, উপরন্তু স্থায়ী সরকারি চাকরিকে অস্থায়ী করে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন নিয়ােগ তো দূরের কথা ক্রমাগত শুন্য পদ তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে।
আগে যেখানে ভারতবর্ষ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আইএএস, আইপিএস, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মতন খ্যাতনামা মানুষকে পেতো। তার বদলে এখন শুধু এখান থেকে বেকার আর শ্রমিক পাচ্ছে দেশ।
সেই সাথে আগামী ৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম সফর বাতিল প্রসঙ্গে হাসিমুখে দিলীপ ঘােষ জানান, আমরা বিজেপির পক্ষ থেকে ৮ তারিখে সভার আয়োজন।করেছি। সেই জন্যই তিনি সেখানে যাওয়া বাতিল করে
দিয়েছেন। শুধু সেখানেই নয় ধীরে ধীরে দিদিমনির অনেক জায়গাতে যাওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে যা হবে সব কালীঘাটেই হবে।
শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নারদা কাণ্ডে টেবিলের তলা থেকে টাকা নেওয়ার ভিডিওর উল্লেখ করে মৌখিক আক্রমণ করবার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘােষ জানান, সিবিআই সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থা যেভাবে তৎপরতার সাথে কাজ করছে, সেখানে যারা যারা প্রকৃত দোষী, তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
বিজেপি কোনদিন অন্যায়কে বা অন্যায়কারীকে সমর্থন করেনা। দেশের উচ্চ আদালতের প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টির সম্পূর্ণ ভারসা রয়েছে সিবিআই(CBI) তদন্তে যাদের দোষী বলে চিহ্নিত করা হবে, আদালত তাদের বিচার করবে।
কিন্তু তৃণমূল দলের যদি কারাের প্রতি অভিযােগ থাকে, তাহলে 'তারা আদালতের দ্বারস্থ হােক। জনসমক্ষে শুধুমাত্র অভিযােগ করলে কোনাে কিছু লাভ হবে না। বরং পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে মন্ত্রীমহল পর্যন্ত যেভাবে নানান অপরাধমূলক কাজকর্মে সকলে জড়িয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত পুরো দলটাই না উঠে যায়।
অপরদিকে সৌরভ গাঙ্গুলীর দিল্লি সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান সৌরভ গাঙ্গুলী একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি। তিনি কখন কোথায় যাবেন, তা নিশ্চয়ই কাউকে বলে যাবেন না।
তিনি প্রাক্তন ক্যাপ্টেন তথা বর্তমান বোর্ডের চেয়ারম্যান সেই প্রসঙ্গে নানান জরুরি বৈঠকে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসতেই পারেন। তাকে নিয়ে বাঙালি সমাজ গর্বিত। তাই তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত তাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.