যারা বালি, কয়লা থেকে তােলা তােলে পুলিশ আধিকারিক করে তাদের খড়গপুরে নিয়ে আসা হয়েছে: শুভেন্দু অধিকারী। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১

যারা বালি, কয়লা থেকে তােলা তােলে পুলিশ আধিকারিক করে তাদের খড়গপুরে নিয়ে আসা হয়েছে: শুভেন্দু অধিকারী।

দলের পর এবার প্রশাসন শনিবার রাতে খড়গপুরে এক কর্মীসভায় যােগ দিয়ে বিজেপি নেতা আক্রমণ শানান।

coal mafias brought to kharagpur as police officer shuvendu adhikari

সম্প্রতি বদলি করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ ও (এসডিপিও) SDPO সুকোমল দাশ। এরা দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচিত। 


এদের জায়গায় নতুন যেসব আধিকারিক এসেছেন, তাদের কাটগড়ায় তুলে শুভেন্দু বলেন এখানকার SDPO এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ভাইপোর কথায় সরানো হয়েছে। এরা যে ভালাে লােক এবং নিরপেক্ষ ছিল আমি একথা বলছি না। কিন্তু ভাইপাের এদের পছন্দ হয়নি, তাই যারা বালি, কয়লা থেকে তোলা তােলে সেইসব পুলিশ আধিকারিকদের এখানে পাঠিয়েছে।

এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, যদি পাঠানাের উদ্দেশ্য রক্ষা করা যায় কিন্তু তা রক্ষা করা যাবে না। এদিন খড়গপুর সদর বিধানসভা আসনের ২৭০টি বুথের কার্যকর্তাদের নিয়ে ইনডাের সম্মেলনের আয়ােজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্মেলন কার্যত সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে জনসভার চেহারা নেয়।

শাসক দলের ভ্রু কুঁচকে যাওয়ার জন্য এই উচ্ছ্বাস যথেষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচশ মিটার দূরেই পালটা সভার আয়ােজন করে। বিজেপির কর্মী সম্মেলন স্থল অব্দি মাইক বাঁধা হয়েছিল।

শুভেন্দু অধিকারী স্বভাবতই শাসক দলের শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তােলেন। তিনি বলেন ছাত্রজীবন থেকে অন্তত দুশ বার এসেছি খড়গপুরে। এটা বিজেপির ট্র্যাডিশনাল আসন। মনােরঞ্জন দত্ত লােকসভার প্রার্থী হিসেবে এই আসনে লিড পেয়েছিলেন।

বিজেপি এই আসনে ২০১৪ সালেও এগিয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষ জয়ী হন। ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচনে এই আসনে বিজেপি প্রায় ৫০ হাজার ভােটে এগিয়ে ছিল। এখানে বহু সভা সমিতি করেছি কিন্তু কখনও দেখিনি বিজেপির ছেলেরা নাকের ডগায় মাইক লাগিয়েছে।

বিজেপির এই শিষ্টাচার, সৌজন্যতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের উপর আস্থার জন্য কর্মী সমর্থকদের স্যালুট জানাই। তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে। খড়গপুরেও জয়ী হবে বিজেপি। পিকের কড়া সমালােচনা করে তিনি বলেন, TMC-র ছেলেরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে নিজেদের মােবাইল নাম্বার দিয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

এরপর উপনির্বাচন শেষ হওয়ার পর সেই মােবাইল নাম্বারে ফোন করে মানুষ কোনও সাড়া পায়নি। এরা চিটিংবাজ, চারশো বিশ। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ, সমিত দাশ তুষার মুখার্জি প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad