বাংলা এখন বিজেপির পাখির চোখ। আর তাই গেরুয়া শিবির দলের ইস্তেহার প্রকাশেও চমক রাখতে চায়।
দলীয় সূত্রে খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J.P Nadda) ২১ শে মার্চ কলকাতায় এসে এই ইস্তেহার প্রকাশ করবেন। আগামী ২১ শে মার্চ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার (Manifesto) প্রকাশ হতে পারে। আর দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্য বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করলে তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ঘটনা হবে।
ইস্তাহার প্রকাশে জেপি নাড্ডা (J.P Nadda)-র উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা থেকেই প্রমাণিত যে বাংলা দখল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য বিজেপির এক নেতা এ প্রসঙ্গে বলছেন, ২১ মার্চ জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে ইস্তেহার প্রকাশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বুধবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ইস্তেহার প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।এদিন মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির কথা ঘােষণা করেছেন। আর তৃণমূলের এই ইস্তেহারকে কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) তৃণমূলের এই ইস্তেহারকে দিশাহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের কথা ঘােষণা করেছেন তার অধিকাংশই কেন্দ্রীয় প্রকল্প, আর তা না হলে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া তা রূপায়ণ সম্ভব নয়। যেমন তাজপুর বন্দর কেন্দ্র না চাইলে হবে না।
অশােক নগরে ওএনজিসি (ONGC) গ্যাস প্ল্যান্ট, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কেন্দ্রীয় প্রকল্প। বাংলা আবাস যােজনায় প্রত্যেকের জন্য বাড়ির ঘােষণা, ওটাও কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনার নাম বদলে।
এই ইস্তাহার প্রমাণ করছে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রযোজন কেন। শমীকবাবু আরও বলেন, একশাে দিনের কাজে প্রথম হওয়া, প্রমাণ করি যে এখানে কর্মসংস্থানের সুযােগ কম। গত ১০ বছরে এখানে একটাও শিল্প আসেনি। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই আমলে মাত্র দুটি টেট পরীক্ষা হয়েছে, তাও নির্ভুল নয়।
তাঁর প্রশ্ন, বিনিয়ােগ না হলে শিল্প হবে কোথা থেকে? এদিন তিনি আরও বলেন, একমাত্র বিজেপি সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলেই তৃণমূল নেত্রী ওঁদের ইস্তেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পূরণ হবে। কারণ সংঘাত নয়, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় হলে তবেই এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। এর সঙ্গে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও থাকছে তাদের ইস্তেহারে। ২১ মার্চ এই ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।
এছাড়াও পিএম কিষাণ প্রকল্পে কৃষকদের বকেয়া ১৮ হাজার টাকা প্রদান, ৮ লক্ষ মৎস্যজীবীকে বছরে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি মৎস্য- জীবীদের জন্য আলাদা দপ্তরের কথাও থাকবে সেখানে। রাজ্যে আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হবে বলেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি।সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন ও মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার কথাও থাকছে এই ইস্তেহারে।
দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা গুলির উন্নতি কথা ফলাও করে সেখানে থাকতে পারে। বঞ্চিত হবেন না মতুয়া ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। শহরের বস্তি- বাসীদের জন্য তৈরি করা হবে পাকাবাড়ি। এককথায়, এই ইস্তেহারে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি থাকছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.