West Bengal assembly election 2021 রাজ্যের হাল ফেরাতে একাধিক দাওয়াই। গেরুয়া ইস্তেহারে চমকের ছড়াছড়ি । - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১

West Bengal assembly election 2021 রাজ্যের হাল ফেরাতে একাধিক দাওয়াই। গেরুয়া ইস্তেহারে চমকের ছড়াছড়ি ।

রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা লাগােয়া সল্টলেকে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

bjp's election manifesto for west bengal 2021

বিজেপির ইস্তেহারে রয়েছে একাধিক চমক। ইস্তেহার প্রকাশের আগে শাহ বলেন, ইস্তেহার শুনে আমাকে প্রশ্ন করবেন না যে এর টাকা কোথা থেকে আসবে? আমি বণিক পরিবারের সদস্য, পাই পয়সার হিসাব করে ইস্তেহার বানিয়েছি।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করে অমিত শাহ বলেন, “এ তাে সঙ্কল্পপত্র। এটা মেনেই বিজেপি সরকার চলবে। সােনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এই ইস্তেহার। এই ইস্তেহার খুব গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে।

বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা চরমে। রাজনীতির দুর্বত্তায়ন হয়েছে। বাংলায় ভােট ব্যাংকের রাজনীতি চলছে। তৃণমূলের কুশাসন বাংলার কালাে অধ্যায়। এই আমলে পিছিয়ে পড়েছেন মহিলারা।

ইস্তেহার প্রকাশ করে অমিত শাহ আরও বলেন, বিজেপি সব সময় সংকল্পপত্রকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে। সংকল্প- পত্রের উপর ভিত্তি করেই বিজেপি সরকার চালিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে কীভাবে সােনার বাংলা তৈরি করব, তা এই সংকল্পপত্রে আছে।

রাজ্যের মানুষের মতামত নিয়ে সংকল্পপত্র তৈরি হয়েছে। সােনার বাংলা কোনও অলীক কল্পনা নয়। অতীতে বাংলা
ভারতের থেকে এগিয়ে থাকত। বাংলা থেকেই স্বাধীনতা
আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। জনগণমন, বন্দেমাতরমের সৃষ্টি হয়েছে এই বাংলার মাটিতেই।

শিক্ষা, বিজ্ঞান, সাহিত্য সব ক্ষেত্রে বাংলা এগিয়ে ছিল। কিন্তু গত ৭৩ বছর ধরে বাংলা একটু একটু করে পিছিয়ে গেছে। ১৯৬৭ সালের পর থেকে বাম ও মমতার শাসন বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে। নারী সুরক্ষায় বাংলা আজ পিছিয়ে পড়েছে।

গত ১০ বছরে তৃণমূলের কুশাসনে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। তােষণ, দুর্নীতি, গরুপাচার, অনুপ্রবেশ ভােট- ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। রাজনীতির দুবৃত্তায়ন করেছেন মমতা। পঞ্চায়েত ভােটে মানুষ ভােট দিতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্র কাঠামােকে ভেঙেছেন মমতা।কংগ্রেস, বাম, তৃণমূলকে স্বাধীনতার পর থেকে সুযােগ দিয়েছেন, এবার একবার বিজেপিকে সুযােগ দিন, সােনার বাংলা তৈরি করব।

বিজেপির ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে। কিষণ সম্মান নিধিতে বকেয়া ১৮ হাজার টাকা ব্যাংক ট্রান্সফার হবে। তারপর বছরে ১০ হাজার টাকা প্রতিবছর দেওয়া হবে।

মৎস্যজীবীদের বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রত্যেক গরিবকে আনা হবে। অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। সরস্বতী, দুর্গাপুজোর জন্য আদালতে যেতে হবে না। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

আগামী ৫ বছর শরণার্থী পরিবারকে বছরে ১০ হাজার টাকা অনুদানও দেওয়া হবে। কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত মহিলারা বিনামূল্যে পড়তে পারবেন। সরকারি বাসে মহিলাদের যাতায়াত বিনামূল্যে করা হবে। রাজ্যে আরও ৩টি এইমস তৈরি হবে।

ক্ষমতায় এসেই ৭ম বেতন কমিশন বসাব। নােবেল পুরস্কারের মতাে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে পুরস্কার চালু হবে। বিধবাদের পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হবে। মহিলাদের সুরক্ষায় পুলিশে পৃথক ব্যাটেলিয়ন চালু হবে।

কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটির তহবিল তৈরি হবে। মৎস্যজীবী দের জন্য ৩ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা করা হবে। মৎস্যজীবীদের সব নৌকা যন্ত্রচালিত করা হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে ১০ হাজার কোটির তহবিল করার ভাবনাও রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

স্কুল পরিকাঠামাে আধুনিকীকরণের জন্য বিদ্যাসাগরের নামে ২০ হাজার কোটির তহবিল। রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য কমন এলিজিবল টেস্ট চালু হবে। শৈলেন মান্না স্পাের্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হবে। আধাসেনায় নারায়ণী ব্যাটালিয়ন চালু হবে।

রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিশ্চিহ্ন করবে এটা বিজেপির অন্যতম দাবি। এমএসএমই (MSME)-তে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টার ছাড়াই ঋণ মিলবে। শহরে পরিকাঠামাে উন্নয়নে ৩০ হাজার কোটি বরাদ্দ হবে। বাগডোগরা বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করা হবে।

গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে ২৫০০ কোটির তহবিল গড়া হবে। সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার আবশ্যিক করার চেষ্টা। শান্তিনিকেতনকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা দিতে ১৫০ কোটি বরাদ্দ হবে।

বাংলায় মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্ন সব ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মনীষীদের জন্য চেয়ার থাকবে। বিজেপির ইস্তেহারে আরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ‘টলিউডের কলাকুশলীদের সাহায্য করা হবে। রাজ্যে ৯টি পৃথক পর্যটন সার্কিট তৈরি হবে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫ টাকায় ৩ বেলার আহারের ব্যবস্থা হবে। এসসি, এসটি সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৫০ করা হবে।

আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য মডেল স্কুল তৈরি হবে। কলকাতার উন্নয়নে ২২ হাজার কোটির তহবিল গড়া হবে। দল ক্ষমতায় আসলে কালীঘাটের আদিগঙ্গার সংস্কারও করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad