ভাের ৬ টা, কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiya)।
তার পর একে একে সেখানে উপস্থিত হন রাজ্য দলের সহ সভাপতি প্রতাপ ব্যানার্জি ও জয়প্রকাশ মজুমদার, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের ভারপ্রাপ্ত শিশির বাজোরিয়া, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।
শনিবার বিধানসভা ভােটের প্রথম দফার দিন সকাল ৮ টার মধ্যে বিজেপির ওই কার্যালয় নেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম, কর্মীরাও হাজির। বেলা ১১ টার মধ্যে পৌঁছেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। এর আগে ভােটের দিন বিজেপি দফতরে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতাদের এত তৎপরতা দেখা যায়নি।
বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন যে ৩০টি আসনে ভােট ছিল, ভাের ৫ টা থেকে সেই কেন্দ্রগুলির দলীয় বুথ এজেন্টদের রাজ্য নেতারা ফোন করে ঘুম থেকে তােলেন। দেরি না করে নিজের নিজের বুথে পৌঁছে যেতে নির্দেশ দেন।
তার পর সারা দিন ধরে হেস্টিংসের কার্যালয় থেকে লাগাতার খোঁজ নেওয়া চলে, কোন বুথে এজেন্ট পৌঁছননি বা যেতে দেরি করেছেন। বুথ ধরে ধরে কোথায় কী গােলমাল হচ্ছে, কোথাও বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানাে হচ্ছে কি না ইত্যাদি নানা অভিযােগ জেনে নেওয়া হয় ফোনে।
অভিযােগ পেয়েই তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে থাকেন শিশির। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের সঙ্গেও আগাগােড়া যােগাযােগ করতে থাকেন হেস্টিংসের।কার্যালয়ের বসে থাকা দলীয় নেতারা ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের কোনও একটির কোনও বুথ থেকে অভিযােগ আসামাত্র তা জানানাে হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষকেও।
সন্তোষ বেলা ৩ টে নাগাদ টুইট করেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভােটের প্রথম দফার রিপাের্ট খুব উৎসাহব্যঞ্জক। তৃণমূল কর্মীরা ঝাড়গ্রাম, রামনগর এবং কিছু বিধানসভা কেন্দ্রে ভােটারদের ভয় দেখানাের কৌশল করলেও লাভ হয়নি। পরের সাত দফা ভােটে কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.