প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পে গায়েব হয়েছে বিপুল অর্থ।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনায় বিপুল ভর্তুকি গিয়েছে ভুয়াে অ্যাকাউন্টে।
সিবিআই (CBI) আজ এ বিষয়ে বিতর্কিত সংস্থা দেওয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটিড (DHFL)- এর প্রােমাটার কপিল ও ধীরজ ওয়াধওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
জালিয়াতি ও কালাে টাকার লেনদেনের মামলায় কপিল ও ধীরজ এই দুই ভাই-ই এখন জেলে রয়েছেন। সিবিআই জানাচ্ছে, কপিল ও ধীরজ ২ লক্ষ ৬ হাজার ভুয়াে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন, যার বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনায়।
২০১৭ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ওই ভুয়াে অ্যাকাউন্ট গুলিতে গৃহঋণ বাবদ ১৪,০৪৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে, যা থেকে ১,১৭,৫৫৯ কোটি টাকা তাঁরা বিভিন্ন ভুয়াে সংস্থায় সরিয়ে ফেলেছেন।
শুধু তাই নয়, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে তােলা গৃহ ঋণের সুদের উপরে ভর্তুকি বাবদ আরও ১৮৮০ কোটি টাকা তারা সরকারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এবং নিম্ন ও মাঝারি আয়ের মানুষকে পাকা বাড়ি দিতে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনা প্রকল্পটির সূচনা হয়েছে।
ডিএইচএফএল (DHFL) ২০১৮- র ডিসেম্বরে লগ্নিকারী- দের জানায়, তারা ওই যােজনায় ৮৮,৬৫১টি গৃহঋণ প্রসেস করেছে এবং ভর্তুকি বাবদ সরকারের কাছ থেকে ৫৩৯ কোটি টাকা পেয়েছে। সরকারের কাছে তখনও তাদের প্রাপ্য ১৩৪৭.৮ কোটি টাকা।
কিন্তু পরে ফরেনসিক অডিটে ধরা পড়েছে এই বিপুল অঙ্কের কেলেঙ্কারি। আগে ইয়েস ব্যাঙ্ক (Yes Bank)-র প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপূর (Rana Kapoor)-র সঙ্গে দুর্নীতি চক্রে জড়িত থাকার অভিযােগ উঠেছে মুম্বইয়ের এই সংস্থার বিরুদ্ধে।
DHFL-এ তাঁদের ব্যাঙ্কের লগ্নির বিনিময়ে কপুরের পরিবার কপিল-ধীরজদের কাছ থেকে মােটা অঙ্কের ঘুষ নিতেন বলে অভিযােগ। সিবিআই এই মর্মে গত বছর এই দুই ভাই ও রানা কপূরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.