হুগলি জেলার ধনিয়াখালি বিধানসভার গুড়াপ পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের দেয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
দেয়াল লিখনে টাকা নেওয়ার প্রলােভনের অভিযােগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনে অভিযােগ দায়ের বিজেপির সমালােচনা ঝড় রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে সরাসরি টাকা নির্বাচন কমিশনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে অভিযােগ বিজেপির।
জানা গিয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেয়ালে লেখা হয়, "টাকা নাও আঁচলে, ভােট দাও জোড়াফুলে।"পাশে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও দেওয়া হয়। আর এই নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভােট প্রচারে টাকার প্রলােভন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযােগ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারা নির্বাচন কমিশনকেও জানাবেন বলে দাবি করে বিজেপি।
এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা সন্দীপ মুখার্জি বলেন, আমরা এর আগের ভােটেও দেখেছি তৃণমূল রাতের অন্ধকারে মানুষকে টাকা দিয়ে ভােট নিয়েছে, মদ খাইয়ে ভােট নিয়েছে। এখনও প্রলােভন দিচ্ছে। এদের কাছে টাকা ছাড়া কিছু নেই।
দশ বছরে গরিব মানুষের কাছ থেকে কাটমানি খেয়ে টাকা নিয়েছে। তাই টাকা দিয়ে ভােট কিনতে চাইছে। তবে মানুষ তৃণমূলের এই সব কীর্তিকলাপ বুঝে গিয়েছে। এটা নির্বাচন বিধিভঙ্গ।আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।
অপরদিকে এই দেয়াল লিখনের বিষয়ে গুড়াপ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শেখ হানিব বলেন, রাতের অন্ধকারে ওরা আসবে। টাকা নিয়ে
ভােট কেনার চেষ্টা করবে।
পশ্চিমবঙ্গে টাকা দিয়ে রাজনীতির দারস্থ বিজেপি হতাে না তাই বিজেপি টাকা দিলে নিয়ে নিন। ভােটটা তৃণমূলে দিন। তৃণমূল টাকা দিয়ে ভােট দিয়ে ভােট নেয় না।
এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, অবিলম্বে এই ধরনের বিতর্কিত দেয়াল লিখনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়ােজন।
যদিও হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন উচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে যােগাযােগ করা হলে তিনি জানান, এই দেওয়াল লিখন না দেখে তাে, কিছু বলা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ভিজিট করবে।
যদি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে টাকা নেওয়ার প্রলােভন থাকে তাহলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এদিন গুরাফে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে সমালােচনার ঝড় জেলাজুড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.